মঙ্গলবার, ১৫ অগাস্ট, ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন, দীর্ঘ ২০ বছর পর উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুরে প্রদর্শিত হল একটি হিন্দি সিনেমা। বিগত কয়েক মাস ধরেই জাতিগোষ্ঠী সহিংসাতায় বিধ্বস্ত এই রাজ্য। সেই পরিস্থিতিতেই স্বাধীনতা দিবসের দিন বড় উদ্যোগ নেওয়া হল মণিপুরে। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উপলক্ষেই এমন উদ্যোগ বলে সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, শেষবার ১৯৯৮ সালে শাহরুখ খানের ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ প্রদর্শিত হয়েছিল মণিপুরে।
মঙ্গলবার চূড়াচাঁদপুর জেলার রেঙ্কাইয়ের একটি প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি সিনেমাটি প্রদর্শনের ব্যবস্থা হয়। তবে কোন ছবি তা জানা যায়নি। এই সিনেমা দেখানোর ক্ষেত্রে মূল উদ্যোক্তা সেখানকার জনজাতি সংগঠন এইচমার স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বা এইচএসএ। সংগঠনটির বক্তব্য, “আদিবাসীদের সমাজের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি। গত দু’দশক ধরে এই চেষ্টা জারি আছে। এর প্রতিবাদেই স্বাধীনতা দিবসে হিন্দি ছবি প্রদর্শন।”
উল্লেখ্য, বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন রেভেলিউশনারি পিপলস ফ্রন্ট বা আরপিএফ ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে মণিপুরে হিন্দি সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ৮ হাজার অডিও ও ভিডিও ক্যাসেট। এমনকী সেই রাজ্যের বিখ্যাত মহিলা বক্সার মেরি কমের জীবনী নিয়ে তৈরি সিনেমাটিও মুক্তি পায়নি এই রাজ্যে। সেই সংগঠনের যুক্তি ছিল, বলিউডের ছবির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে মণিপুরে। ক্ষতি হবে রাজ্যের ভাষা ও সংস্কৃতির। তাই নিষিদ্ধ করা হয়েছে হিন্দি ছবি। কুড়ি বছর পর ভাঙছে সেই নিয়ম।