চার মাস পর সুদান যুদ্ধ অচলাবস্থায়, নির্যাতনে জর্জরিত 

সুদানের দারফুর অঞ্চলের সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা সুদানী শিশুরা সুদান ও চাদের সীমান্ত অতিক্রম করছে।

সুদানের সেনাবাহিনী আধাসামরিক বাহিনীর কাছে খার্তুমের নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলে তারা নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেনি এবং এর পরিবর্তে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অভিযোগ করেছে। ঐ চার মাস যুদ্ধে দুপক্ষেরই বিশ্বাস ছিল যে তারা জিতবে।

১৫ এপ্রিল যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন সুদানের সেনাবাহিনীর প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান নিশ্চিত ছিলেন যে লড়াই “দুই সপ্তাহের মধ্যে” শেষ হয়ে যাবে।

সেনা প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলো শত্রু হিসেবে অবতীর্ণ হয়ে শপথ নিয়েছেন যে তার র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সই “জয়ী” হবে।

তবে কেউই চূড়ান্তভাবে সুবিধা অর্জন করতে সক্ষমহয়নি। এই যুদ্ধে কমপক্ষে ৩,৯০০ জন প্রাণ হারিয়েছে, ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাস্তুহারা হয়েছে, খাদ্য ঘাটতি আরও চরম আকার ধারণ করেছেএবং যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের দাবী সোচ্চার হয়েছে।

সামরিক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আবদেলকরিম বলেন, “সেনাবাহিনী মনে করেছিল যে তারা আরএসএফের সামরিক সক্ষমতা কতটা তা সঠিকভাবে জানে।

নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা বলেন, আরএসএফবুঝতে পেরেছিল যে তাদেরকে “দীর্ঘকাল যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে” এবং অবিলম্বে তারা“খার্তুমের প্রবেশ পথগুলি দখল করে নেয় এবং তাদের সরবরাহ লাইনগুলি সুরক্ষিত করে ।”

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশ্লেষকরা বলছেন, গত জুলাই মাসে সেনাবাহিনী খার্তুম ও আধাসামরিক বাহিনীর শক্তঘাঁটি দারফুরের মধ্যে সংযোগকারী মহাসড়ক বন্ধের ঘোষণা দিলেও তাদের সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্রের সরবরাহ থামাতে পারেনি।

সুদানের যুদ্ধের গতিকে শ্লথ করার জন্য উভয় পক্ষের সাথে যুক্ত সংস্থাগুলির উপর যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা খুব কম কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।