বাংলাদেশের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে, দুর্যোগ কবলিত এলাকায় এর ব্যতিক্রম হতে পারে বলে তিনি জানান।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) বিকেলে চাঁদপুরের লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত ভবন উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন দীপু মনি। তিনি বলেন, “আমাদের সিদ্ধান্ত আছে, যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো এলাকায় পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়, স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। দেশের অন্যান্য জায়গায় যথারীতি পরীক্ষা চলবে।”
বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ডেঙ্গু প্রতি বছরই হয়, এ বছর হয়তো প্রকোপটা বেশি। ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য সারাদেশের এইচএসসি পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এবার প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী রয়েছে। তারা এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। বহু আগে ১৭ আগস্ট পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। তাই পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই।”
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, “কিছু পরীক্ষার্থী সব সময় পরীক্ষার আগে চিন্তা করে আরেকটু সময় পেলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেয়া যাবে। সে জন্য সব পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া যায় না। এটা পাবলিক পরীক্ষা, সঠিক সময়ে নেয়া জরুরি।”
তিনি বলেন, “ কোভিডের কারণে অনেক সময় পিছিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে এবং এ বছর আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষা এগিয়ে নিতে। আগামী বছর আমরা চেষ্টা করবো স্বাভাবিক সময়ে নিতে।”
দীপু মনি বলেন, “আমাদের পরীক্ষায় শতভাগ পাস করে না। যারা পাস করে না, তারা পরের বছর পরীক্ষা দেয়। যারা ভালো করে না, তারা মান উন্নয়নের জন্য পরের বছর পরীক্ষা দেয়। এই সুযোগগুলো সব সময় আছে। কাজেই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরীক্ষার্থীরা যেন সবাই পড়ার মধ্যে মনোনিবেশ করে। তাদের জন্য শুভ কামনা রইলো।”
ঝরে পড়া সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যারা এসএসসি পরীক্ষা দেয়, তাদের মধ্যে বহু সংখ্যক কর্মজীবনে প্রবেশ করে। অনেকে বিদেশে চলে যায়। আবার কেউ আছে অন্যান্য শিক্ষা, অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষায় চলে যায়, তারা আর এইচএসসি দিতে আসে না। এসব বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।”