সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি তাদের করায়ত্ত, জানিয়েছে ইরান

ফাইল- ২০২৩ সালের ২৫ মে, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রকাশিত এক ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক গোপন জায়গায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। (এএফপি চিত্র/এইচও/ ইরান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইট)

ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইরান বুধবার বলেছে যে, তাদের কাছে সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি রয়েছে। তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা নিয়ে এই ঘোষণা সম্ভবত পশ্চিমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেবে।

লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি যুদ্ধজাহাজে ৩ হাজারের বেশি যুক্তরাষ্ট্রের নাবিক ও নৌ-সেনাদের আসার খবরের কয়েকদিন পরেই এই ঘোষণা। হরমুজ প্রণালীর মধ্য দিয়ে চলাচল করা মালামালবাহী জাহাজ আটক ও হয়রানি থেকে ইরানকে নিবৃত্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী সেখানে রয়েছে।

আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, "সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের প্রতিরক্ষা কর্মসূচিতে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে, কারণ সুপারসনিক গতিতে উড়ে যাওয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকানো অত্যন্ত কঠিন।"

তা ছাড়া,তারা আরও বলেছে ,“নতুন এই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্তরে রয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় বিরোধিতা সত্ত্বেও, ইরান বলেছে যে তারা তাদের "প্রতিরক্ষামূলক" ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি আরও উন্নত করবে। তবে পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান কখনো কখনো তার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতাকে অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করে।

মধ্যপ্রাচ্যে অন্যতম বৃহত্তম ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি রয়েছে ইরানের। তারা বলেছে, তাদের অস্ত্র এই অঞ্চলে চরমশত্রু ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে পৌঁছতে সক্ষম।

ইরানের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উদ্বেগের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ছয়টি প্রধান শক্তির সাথে তেহরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং তেহরানের উপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

পরমাণু সমঝোতা রক্ষায় তেহরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা গত সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত হয়ে রয়েছে।