যুক্তরাষ্ট্র,ইরাক দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষা সহযোগিতার কথা বলছে

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থাবিত মুহাম্মদ আল-আব্বাস ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট পেন্টাগন ত্যাগ করার আগে আল-আব্বাসের জন্য একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে কুশল বিনিময় করছেন।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরাক তাদের অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ার আশা করছে।এ রকম অংশীদারিত্ব যা কীনা কেবল মাত্র ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গোষ্ঠীর মোকাবিলায় প্রায় সম্পূর্ণভাবে আলোকপাত করার বাইরেও অন্যান্য বিষয়েও আলোকপাত করবে। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কর্মকর্তা এটিকে ৩৬০-ডিগ্রি সম্পূর্ণ-সরকারি জোট হিসেবে অভিহিত করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সাবিত মুহাম্মাদ আল-আব্বাসীর মধ্যকার দুই দিনের আলোচনার শুরুর জন্য উভয় দেশের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এবং কূটনীতিকরা সোমবার পেন্টাগনে বৈঠকে মিলিত হন।

ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার সৈন্য রয়েছে। তাদেরকে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীকে পরামর্শ দেয়া এবং সহায়তা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা আইএসআইএস বা দায়েশ নামে পরিচিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপের অবশিষ্টাংশের প্রতি নজর রাখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ইরাকি বাহিনীর নেতৃত্বে এই ব্যবস্থা সফল প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুমান, ইরাকে আইএসের র‍্যাংক কমিয়ে এক হাজার জনের কম যোদ্ধায় আনা হয়েছে। ইরাকে গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব একইভাবে ইরাকি বাহিনীর দ্বারা ক্রমাগতভাবে অবনমিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, আইএস এবং সন্ত্রাস দমনের বাইরে নিরাপত্তা উদ্বেগের জন্য ইরাকি বাহিনীকে প্রস্তুত করার জন্যও কাজ করা দরকার।

তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা আরও সচেতন যে, অন্যান্য দেশ যারা ইরাকের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে চায়; যেমন চীন, রাশিয়া এবং তুরস্ক তাদের সাথেও প্রতিযোগিতা রয়েছে।