মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী “লাগাতার ও নির্লজ্জ” যুদ্ধাপরাধ করছে: জাতিসংঘ প্রতিবেদন

মিয়ানমারের সাগাইং-এ পিপল ডিফেন্স ফোর্সের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় স্কুলে একটি শিশুর ব্যাকপ্যাক ও স্যান্ডেল দেখা যাচ্ছে; (ফাইল ফটো, রয়টার্স, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও থেকে নেয়া স্থিরচিত্র); ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২।

মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জাতিসংঘ অনুসন্ধানী দলের তদন্তকারীরা বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ক্রমবর্ধমান হারে নির্লজ্জ যুদ্ধাপরাধ সংগঠন করছে। এর মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমা বর্ষণ।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম) এর প্রতিবেদন তৈরির কাল ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং এর সহযোগী আধা সামরিক বাহিনী ক্রমবর্ধমান হারে এবং নির্লজ্জভাবে যুদ্ধ-সম্পর্কিত তিন ধরনের যুদ্ধাপরাধ করেছে; এর জোরালো প্রমাণ রয়েছে।”

এই অপরাধের মধ্যে রয়েছে; বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে নির্বিচার বা অসামঞ্জস্যপূর্ণ বোমা বর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের বাড়িঘর ও ভবন পুড়িয়ে ফেলা। এর ফলে অনেক সময় পুরো গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়।

দুই বছর আগে জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমার এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে পড়ে। বিরোধীদের ওপর রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়ন শুরু করলে, প্রতিরোধ আন্দোলনের সদস্যরা বিভিন্ন ফ্রন্টে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে। আর, এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলো নতুন করে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

জাতিসংঘের তদন্তকারীদের অনুসন্ধানের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য জান্তার কোনো মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এর আগে কোনো নৃশংস ঘটনার কথা অস্বীকার করে জান্তা। তারা বলেছে যে তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি বৈধ অভিযান পরিচালনা করছে।

সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বোমা হামলা ন্যায্য বলে তারা উল্লেখ করে তবে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী “জানে বা জানা উচিত ছিলো” যে হামলার সময় কথিত লক্ষ্যবস্তুতে বা তার আশেপাশে বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক অবস্থান করে।