আকাশসীমা বন্ধ করে দিলো নিজার, প্রেসিডেন্টকে পুনর্বহাল করতে অস্বীকার

নিয়ামে-তে নিজার-এর সামরিক জান্তার সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুম-কে ক্ষমতাচ্যুত করা সৈন্যদের একজন মোহাম্মদ তোম্বা; ৬ আগস্ট ২০২৩।

নিজার রবিবার দেশটির আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। পরপর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। অভ্যুত্থানের নেতারা দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে পুনর্বহাল করার সময়সীমা প্রত্যাখ্যান করার পর, পশ্চিমআফ্রিকার আঞ্চলিক ব্লকের পক্ষ থেকে সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকির কথা উল্লেখ করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এর আগে, হাজার হাজার জান্তা সমর্থক রাজধানী নিয়ামে-এর একটি স্টেডিয়ামে ভিড় করে। তারা উল্লাস প্রকাশ করে এবং ২৬ জুলাই ক্ষমতা দখলের পর,রবিবারের মধ্যে বাইরের চাপের কাছে মাথা নত না করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তার প্রতি সমর্থন জনানায়।

পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকায় তিন বছরের মধ্যে এটি সপ্তম অভ্যুত্থান। এই ঘটনা বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র সাহেল অঞ্চলকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ইউরেনিয়াম ও তেলের সমৃদ্ধ মজুত এবং ইসলামি জঙ্গিদের সাথে যুদ্ধে দেশটির প্রধান ভূমিকার কারণে, নিজার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন ও রাশিয়ার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।

ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোওয়াস) এর প্রতিরক্ষা প্রধানরা একটি সম্ভাব্য সামরিক কর্ম-পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছেন। পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে; যদি সময়সীমার মধ্যে আটক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে মুক্তি না দেয়া হয় এবং পুনর্বহাল করা না হয়; তবে কখন ও কোথায় হামলা করা হবে।

এক জান্তা প্রতিনিধি রবিবার সন্ধ্যায় জাতীয় টেলিভিশন-এ প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, " সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠছে…নিজারের আকাশসীমা এখন থেকে কার্যকর ভাবে বন্ধ।" তিনি জানান যে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রস্তুতি হিসেবে, মধ্য আফ্রিকার দুটি দেশে আগে থেকেই সেনা মোতায়েন করে রেখেছিলো। তবে, এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।

পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে বা রবিবার ঠিক কখন বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হবে সে সম্পর্কে মন্তব্য করার অনুরোধ করা হলে, ইকোওয়াস এর পক্ষ থেকে কোনো জবাব দেয়া হয়নি। তবে, একজন মুখপাত্র আগে বলেছিলেন, দিনের শেষে তারা একটি বিবৃতি দেবেন।

সামরিক সঙ্গীত ও ভুভুজেলা বাজিয়ে ১০০ জনের বেশি জান্তা-সমর্থক এই সপ্তাহান্তে নিয়ামে-তে এক বিমান ঘাঁটির কাছে অবস্থান নেয়। প্রয়োজন হলে, জান্তার সমর্থনে অহিংস প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য এটা ছিলো নাগরিক আন্দোলনের একটা অংশ।