জেদ্দা আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সৌদি আরবের

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ; ১ আগস্ট, ২০২৩।

শনিবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ নিয়ে একটি আলোচনার আয়োজন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। আর, এর মধ্য দিয়ে দেশটি তাদের সর্বসাম্প্রতিক কূটনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করতে যাচ্ছে। তবে, এই সম্মেলন থেকে কোনো কিছু অর্জনের প্রত্যাশা খুব কম।

সরকারি বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজন্সি (এসপিএ) শুক্রবার জানিয়েছে, লোহিত সাগরের উপকূলীয় নগর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং অন্য কর্মকর্তাদের বৈঠকে “স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমাধানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে, রিয়াদ-এর প্রভাব ব্যবহারের দৃঢ ইচ্ছার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।”

এই সম্মেলনের প্রস্তুতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কূটনীতিকরা জানান, প্রায় ৩০টির মতো দেশকে এই আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে, রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

এসপিএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, “শুধু ঐ সুনির্দিষ্ট দেশগুলো” আলোচনায় অংশ নেবে।

এই বৈঠকের আগে জুনে ইউক্রেনের আয়োজনে কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত আলোচনার পর সৌদি আরবে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কোপেনহেগেন-এর আলোচনাটি ছিলো মূলত অনানুষ্ঠানিক উদ্যোগ। আর ঐ আলোচনার পর কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া হয়নি

শুক্রবারের বক্তৃতায়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি জেদ্দা আলোচনায় যোগ দেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন অঞ্চলের দেশগুলো সাড়া দেয়ায় একে স্বাগত জানান। এই আলোচনায় যোগ দিতে সাড়া দিয়েছে অনেক উন্নয়নশীল দেশ, যারা যুদ্ধের কারণে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায়, চরম দুর্দশায় পড়েছে।

তিনি বলেন, “ এ ধরনের আলোচনা খুবই জরুরি; কারণ, আফ্রিকা, এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য অংশের লাখ লাখ মানুষের নিয়তি যে বিষয়টির ওপর নির্ভর করছে, তা হলো, বর্তমান বিশ্ব কত দ্রুত শান্তির উপায় বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে। আর, খাদ্য নিরাপত্তা হলো অন্যতম জরুরি বিষয়।”

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব, রাশিয়ার সঙ্গে তেল নীতিমালা নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে। দেশটি যুদ্ধের উভয় পক্ষের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে, প্রায় দেড় বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধ অবসানে সম্ভাব্য মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে।