ইজমাইল শস্য ভাণ্ডারে রুশ হামলা

ওডেসা অঞ্চলের ইজমাইলে একটি দৃশ্যে রাশিয়ার ড্রোন হামলার সময় ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি ভবন দেখা যাচ্ছে। ২ আগস্ট, ২০২৩।

বুধবার রাশিয়ার ড্রোন হামলায় দক্ষিণ ইউক্রেনের ইজমাইলের দানিউব নদী বন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্দরে আগুন লেগেছে এবং আফ্রিকা, চীন ও ইসরাইলের জন্য নির্ধারিত ৪৪ হাজার টন শস্যের ক্ষতি হয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন।

রোমানিয়ার সীমান্তের কাছে ইজমাইলে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। এটি কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলোর একটি অভ্যন্তরীণ বিকল্প। এটিকে রাশিয়া অবরুদ্ধ করেছে।

তবে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর অবকাঠামোর বিরুদ্ধে হামলা ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি রাশিয়ার অবহেলা প্রদর্শন করে।

বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সাথে একটি টেলিফোন কলে কৃষ্ণ সাগর শস্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেছেন। উভয় দেশই একথা নিশ্চিত করেছে। এই আলোচনায় এরদোয়ান শস্যের চালান পুনরায় চালু করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। আর পুতিন বলেছেন, তিনি “পশ্চিম তার বাধ্যবাধকতা পূরণ করার সাথে সাথেই চুক্তিতে ফিরে আসবেন।”

রাশিয়ার নেতা দাবি করেছেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়ার শস্য এবং সারের চালানকে বাধা দিয়েছে।

ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলেছে, তারা বুধবার পর্যন্ত রাতভর রাশিয়ার বিভিন্ন দিক থেকে ইরানের তৈরি ২৩টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি কিয়েভকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়।

এদিকে ওয়াশিংটনে পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ চলমান রয়েছে কিন্তু “এটি তাদের জন্য একটি কঠিন লড়াই হবে এবং অব্যাহত থাকবে।”

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।