পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী গড়ে তোলা যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের সংকেতঃ বিশ্লেষণ

Iযুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর হ্যান্ডআউট এই ছবিতে উভচর অ্যাসল্ট জাহাজ ইউএসএস বাটান আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্য দিয়ে চলছে। ২০ জুলাই, ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধজাহাজ সমেত হাজার হাজার মেরিন ধীরে ধীরে পারস্য উপসাগরে উপস্থিতি গড়ে তুলছে। এটি একটি চিহ্ন যে, এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ইরানের সাথে দেশটির অগ্রসর পারমাণবিক কর্মসূচী নিয়ে তার বিরোধের আরও অবনতি হতে চলেছে; কোনো সমাধান চোখে পড়ছে না।

তেহরানের ধর্মতন্ত্রের কট্টরপন্থীদের জন্য এই পদক্ষেপটি ২০১৯ সাল থেকে ইরানকে দায়ী করা একাধিক হামলার অংশ হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর কাছে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের জন্য একটি সতর্কতা হিসেবেও কাজ করে যে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির প্রতিশোধ নেয়ার উপায় রয়েছে। বিশেষত যেহেতু আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরানি অপরিশোধিত তেল বহনকারী জাহাজ জব্দ করা হয়ে থাকে। আরেকটি জব্দের ঘটনার আশঙ্কা সম্ভবত টেক্সাসের কাছে ইরানি তেল বহনকারী একটি জাহাজকে আটকে রেখেছে। কোনো কোম্পানি এখনো জাহাজটির তেল নামিয়ে আনতে পারেনি।

এগুলো সংঘাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। তবে এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীর পূর্ববর্তী সাম্প্রতিক অবস্থানের কারণে সরাসরি যুদ্ধ হয়নি। তবে অতীতে দুই পক্ষই যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক নজরদারির জন্য ব্যবহৃত দুটি ইরানি তেল রিগে আক্রমণ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় নৌ যুদ্ধে ইরানি জাহাজ ডুবিয়ে দেয় বা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

কূটনীতি থমকে যাওয়ায় এবং সমুদ্রে ইরান আরও আগ্রাসী হতে ইচ্ছুক হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আবারও তেহরানকে সমঝোতায় আনতে সামরিক শক্তির ওপর নির্ভর করছে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এটি তাদের বাকি সমস্যাগুলোকে সমুদ্র সংক্রান্ত বিষয়ের বাইরেও বিদ্যমান রাখে এবং তা আরও বাড়তে থাকে।