জাপানে টাইফুনে একজনের প্রাণহানি, ওকিনাওয়াতে এক তৃতীয়াংশ বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন

ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজির এই স্যাটেলাইট চিত্রটিতে টাইফুন খানুনকে ওকিনাওয়ার দিকে অগ্রসর হতে দেখা যাচ্ছে। ১ আগস্ট, ২০২৩।

বুধবার সকালে প্রবল বাতাস জাপানের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য ওকিনাওয়াতে বিদ্যুৎ লাইনে আঘাত হানে। এতে ২ লাখের বেশি পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়। শক্তিশালী এবং ধীরগতির টাইফুন খানুন দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপগুলোর কাছাকাছি চলে যায়।

এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং ১১ জন আহত হয়েছে। ফায়ার অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি অনুসারে, ধসে পড়া গ্যারেজের নিচে পিষ্ট হয়ে এক ব্যক্তির কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়। তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

স্থানীয় ইউটিলিটি ওকিনাওয়া ইলেকট্রিক পাওয়ার জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইট অনুসারে, জাপানের সময় (০০৪০ জিএমটি) দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার পরিবার বা সমস্ত বাড়ির ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছে।

কিউশু ইলেক্ট্রিক পাওয়ার জানিয়েছে, ওকিনাওয়ার উত্তরে কাগোশিমা প্রিফেকচারে আমামি দ্বীপপুঞ্জের ১০ হাজার ৩০টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

মোবাইল অপারেটর সফটব্যাংক কর্পোরেশন এবং কেডিডিআই জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ওকিনাওয়ার কিছু এলাকায় ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

বুধবার দ্বিতীয় দিনের জন্য ওকিনাওয়ার রাজধানী শহর নাহাতে বিমানবন্দরটি বন্ধ ছিল। জাপানের পরিবহন মন্ত্রক জানিয়েছে, মঙ্গল এবং বুধবার মোট ৯৫১টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে; ৩৫টি ফেরি লাইনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

গ্রীষ্মের পর্যটন মৌসুমে ঝড় আঘাত হানছে। এই বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা প্রাক-মহামারী পর্যায়ে ফিরে গিয়েছিল। ওকিনাওয়ায় প্রায়ই টাইফুন আঘাত হানে, তবে তা সাধারণত বছরের পরের দিকে আঘাত হানে।