বন্দী আমেরিকান সৈন্যের বিষয়ে জাতিসংঘকে মৃদু জবাব দিয়েছে উত্তর কোরিয়া : পেন্টাগন

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের একটি রেলওয়ে স্টেশনে, টেলিভিশনে সংবাদ চলাকালে আমেরিকান সৈনিক ট্র্যাভিস কিং কে নিয়ে রিপোর্ট প্রচার করছে। ২৪ জুলাই, ২০২৩। (ফাইল ছবি)

মঙ্গলবার পেন্টাগন জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় আটক একজন আমেরিকান সৈন্যের বিষয়ে জাতিসংঘের কমান্ডের কাছে খুব সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটি। গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে কড়া সুরক্ষিত সীমান্ত পেরিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন ওই সৈন্য। এর পরপরই তাকে গ্রেপ্তার করে উত্তর কোরিয়া।

তবে পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেছেন, উত্তর কোরিয়া শুধুমাত্র আমেরিকান সৈন্য ট্র্যাভিস কিং সম্পর্কে তথ্যের জন্য জাতিসংঘের কমান্ডের অনুরোধ স্বীকার করেছে, এছাড়া তার সম্পর্কে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য দেয়নি।

উত্তর কোরিয়ার সরকারী নাম, ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ, ডিপিআরকে ব্যবহার করে, রাইডার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, "আমি নিশ্চিত করতে পারি, ডিপিআরকে জাতিসংঘের কমান্ডে সাড়া দিয়েছে, কিন্তু আমার কাছে বলার মতো আর কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই।"

আরও কিছু জানতে চাপ দেওয়া হলে, রাইডার বলেন, জাতিসংঘের কমান্ডের কাছে উত্তর কোরিয়ার বার্তাটি জাতিসংঘের কমান্ডের জিজ্ঞাসার একটি "স্বীকৃতি" মাত্র।

গত ১৮ জুলাই দুই কোরিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন একটি অসামরিক এলাকা সফর করার সময়, উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন কিং। এর ফলে, পরমাণু অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার সাথে নতুন করে একটি কূটনৈতিক বিরোধে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র।

২০২১ সালের জানুয়ারীতে আমেরিকান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন কিং। তিনি বর্তমানে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি কয়েক দশকের পুরনো আমেরিকান নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে কোরিয়ান রোটেশনাল ফোর্সের অশ্বারোহী স্কাউট হিসাবে কাজ করছিলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমেরিকান কর্মকর্তারা বলেছেন, কিং দেশে ফিরলে, টেক্সাসের ফোর্ট ব্লিসে সামরিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হবেন।

উত্তর কোরিয়ায় কিংয়ের ভাগ্যে ঠিক কী ঘটতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকান কর্মকর্তারা। অতীতে ঘটে যাওয়া, আমেরিকান কলেজ ছাত্র অটো ওয়ার্মবিয়ারের ঘটনাটি উল্লেখ করেছে আমেরিকান সেনাবাহিনী। ওয়ার্মবিয়ার উত্তর কোরিয়ায় ১৭ মাস ধরে বন্দী ছিলেন। ২০১৭ সালে কোমায় থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার পরপরই, তিনি মারা যান।