ইরানে জার্মান নাগরিকের মৃত্যুদণ্ডে তীব্র মনোকষ্টে তার পরিবার

জামশিদ শর্মাহাদ তেহরানে তার বিচারের প্রথম শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। ফাইল ছবি। (মিজান নিউজ এজেন্সি/এএফপি

ইরানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জার্মান নাগরিক জামশিদ শর্মাহাদের জন্য তার পরিবার তিন বছর ধরে যন্ত্রণা সহ্য করেছে। তারা প্রতিদিন তার খবর জানার জন্য অপেক্ষা করেছে। সবসময় তারা সবচেয়ে খারাপ খবরটা পাওয়ার ভয়ে থাকতো।

শারমাহদকে তিন বছর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ের শেষের দিকে ইরানি কর্তৃপক্ষ অপহরণ করে। এই বছরের শুরুতে “পৃথিবীতে দুর্নীতির” অভিযোগে ফাঁসির দন্ড দিয়েছে। ইরানের সুপ্রিম কোর্ট এপ্রিলে এই মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেছে।

সক্রিয়কর্মীরা তাকে পশ্চিমাদের কাছ থেকে ছাড় আদায়ের জন্য ইরানের কাছে জিম্মি হিসেবে আটক ১২ জনের বেশি বিদেশী পাসপোর্টধারীদের একজন বলে মনে করেন।

তার পরিবার বলছে, তেহরানে জন্মগ্রহণকারী ৬৮ বছর বয়সী শারমাহদ একজন সফটওয়্যার ডেভেলপার। তিনি ১৯৮০-র দশকে জার্মানিতে অভিবাসন নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর বসবাস করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ২০২০ সালের জুলাই মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইরানি নিরাপত্তা পরিষেবার দ্বারা তিনি অপহৃত হন। তাকে সীমান্ত পার করে ওমানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারপর বিচারের জন্য ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়।

শারমাহদকে কীভাবে আটক করা হয়েছে- তা ইরান কখনোই নিশ্চিত করেনি। তারা শুধু জানিয়েছে, একটি “জটিল অপারেশনে” তাকে আটক করা হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, তাকে “গুম” করা হয়েছিল। তারপরে তার “বিচারের প্রহসন” করা হয় এবং আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়। ইউএন ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রারি ডিটেনশন তার আটককে স্বেচ্ছাচারী হিসেবে লিপিবদ্ধ করেছে এবং তার অপহরণের বিষয়ে তার পরিবারের বিবরণ নিশ্চিত করেছে।

মৃত্যুদণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় বার্লিন দুজন ইরানি কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে। এই মৃত্যুদন্ডকে “অগ্রহণযোগ্য” বলে অভিহিত করেছে।

এএফপির একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইরান শারমাহদের গেপ্তারের ঘোষণা দেয়ার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার বার্লিনে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের বাইরে প্রায় ২০ জন মানুষ জড়ো হয়েছিল।