বেইজিংয়ের পশ্চিম শহরতলিতে সপ্তাহান্তে সব রাস্তা প্লাবিত হবার পর থেকে একটানা বৃষ্টির কারণে সোমবার প্রচুর গাড়ি ভেসে গেছে, অন্তত দু'জন মারা গেছে এবং শত শত মানুষ আটকা পড়েছে। রাতারাতি কয়েক হাজার লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও এই ঘটনা ঘটে।
চীনের রাজধানীতে শত শত রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। সরকারি মিডিয়ার পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, মেনটুগু জেলায় দ্রুত বয়ে চলা স্রোতে আধ-ডোবা গাড়িগুলি টেনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কারণ টাইফুন ডকসুরি শেষ দফায় প্রায় ২২ মিলিয়ন বাসিন্দার শহরে রেকর্ড বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে।
উদ্ধারকারীরা শহরের অন্যান্য অংশে শত শত মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মেনটুগুতে জরুরি টহল চলাকালীন একটি নদীতে দুটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
বেইজিং ছাড়াও, ডকসুরির আঘাতের পর প্রতিবেশী শহর তিয়ানজিন এবং হেবেই প্রদেশের প্রায় ব্রিটেনের আয়তনের একটি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে, যা সপ্তাহান্তে গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপে নেমে এসেছিল।
হাই নদীর অববাহিকা গঠিত হয়েছে যে পাঁচটি নদীর পলি দিয়ে, তার মধ্যে তিনটি সোমবার বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছেছে। কিছু বাড়ি ইয়ংডিং নদীতে ভেসে গেছে এবং বাওডিং শহরের প্রায় ৫৫,০০০ লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে সরকারি মিডিয়া।
ডকসুরি ছিল কয়েক বছর ধরে চীনে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলির মধ্যে একটি। দক্ষিণাঞ্চলীয় ফুজিয়ান প্রদেশে সপ্তাহান্তে ব্যাপক বন্যার সৃষ্টি করেছিল এই ঝড়। কয়েক লক্ষ লোককে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
শনিবার রাত থেকে সোমবার বিকেলের মধ্যে বেইজিং-এ গড় বৃষ্টিপাত ১৭৬.৯ মিলিমিটারে পৌঁছেছে। সরকারি মিডিয়া অনুসারে, মেনটুগুতে একটি আবহাওয়া কেন্দ্রে সর্বোচ্চ রেকর্ড করা বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫৮০.৯ মিলিমিটার।
বেইজিং মানমন্দির ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য লাল সতর্কতা (সর্বোচ্চ সতর্কতা) জারি রেখেছে। বেইজিং হাইড্রোলজি স্টেশন আরও বৃষ্টি ও বন্যার পূর্বাভাস দিয়ে বন্যা-সতর্কতা আপগ্রেড করেছে৷