ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন সোমবার সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ইউক্রেন বা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আগ্রাসন সহ্য করবে না ইউরোপ, কারণ ২০১৬ সালের সালিশি সিদ্ধান্তের ইইউ-র স্বীকৃতির বিষয়টিতে দৃঢ়ভাবে জোর দিয়েছেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সম্প্রসারণের দাবিকে নস্যাৎ করে।
বাণিজ্যিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে ম্যানিলায় আলোচনার পর ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভন ডার লেইন বক্তব্য রাখেন। নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেছেন যে ২৭টি দেশের ব্লক ফিলিপাইনের সাথে একটি মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তির জন্য পুনরায় আলোচনা শুরু করবে যেটি ২০১৭ সালে মার্কোসের পূর্বসূরি রদ্রিগো দুতের্তে-র অধীনে স্থগিত ছিল।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি সুরক্ষা সংক্রান্ত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। তিনি বলেন যে, এই ঘটনা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে স্বৈরাচারী নেতারা "তাদের হুমকি অনুযায়ী কাজ করতে ইচ্ছুক"।
তিনি বলেন, "ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের যুদ্ধ আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার ভিত্তিকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এটি জাতিসংঘের সনদ, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের মতো আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতির লঙ্ঘন।"
ভন ডার লেইন বলেন, "এ কারণেই ইউরোপ আগ্রাসীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সাহসী লড়াইকে সমর্থন করে কারণ শক্তির অবৈধ ব্যবহার সহ্য করা যায় না--ইউক্রেনে নয়, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরে নয়। ইউরোপের নিরাপত্তা ও ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা অবিভাজ্য। আন্তঃসম্পর্কযুক্ত বিশ্বে নিয়ম-ভিত্তিক আদেশের প্রতি চ্যালেঞ্জ আমাদের সকলকে প্রভাবিত করে।"
তিনি বলেন, "এ কারণেই আমরা ইন্দো-প্যাসিফিকের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।" পাশাপাশি যোগ করেন, ইইউ একটি মুক্ত এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিককে সমর্থন করে "কারণ ইন্দো-প্যাসিফিক মুক্ত হওয়া আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শান্তি ও জনগণের সমৃদ্ধির জন্য স্থিতিশীলতা জরুরি।"