মিয়ানমারে দুই বছরের বেশি সময় আগে সেনাবাহিনী একটি নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করার সময় জারি করা জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছে সেনা-নিয়ন্ত্রিত সরকার। সোমবার রাষ্ট্রচালিত গণমাধ্যম একথা জানায় । এই সিদ্ধান্ত ক্ষমতা গ্রহণের সময় সামরিক বাহিনী যে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সে ক্ষেত্রে আরও বিলম্ব করতে বাধ্য করবে।
সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অং সান সু চি এবং তার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টির সদস্যদের ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে। সে সময় দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। পাঁচ দশকের সামরিক শাসনের পর এরকম ক্ষমতা দখল গণতন্ত্রের দিকে দেশটির অগ্রগতিকে উলটে দেয়।
সামরিক বাহিনী বলেছে, এটি ২০২০ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত সর্বসাম্প্রতিক সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির কারণে ক্ষমতা দখল করেছে। ওই নির্বাচনে সু চির দল বিশাল বিজয় অর্জন করেছিল, অন্যদিকে সেনা-সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি খারাপ করেছিল। স্বাধীন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, তারা বড় ধরনের কোনো অনিয়ম পাননি।
সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের ফলে ব্যাপক শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছিল, যা নিরাপত্তা বাহিনী প্রাণঘাতী শক্তি ব্যবহার করে দমন করেছিল। এর ফলে সশস্ত্র প্রতিরোধের সূত্রপাত হয়েছিল, যেটিকে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা গৃহযুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
স্বাধীন সংস্থা অ্যাসিস্ট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্সের একটি পরিসংখ্যান অনুসারে, অধিগ্রহণের পর থেকে সোমবার পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ৩ হাজার ৮৫৭ জন নিহত হয়েছে।
সোমবারের প্রতিবেদনে কখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে- তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি; শুধু বলা হয়েছে, জরুরি অবস্থার লক্ষ্যগুলো সম্পন্ন হওয়ার পরে এটি ঘটবে।