লেবাননের ফিলিস্তিনি ক্যাম্পে উপদলের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত, নিহত নয়জন

ফিলিস্তিনি ফাতাহ গোষ্ঠীর সদস্যরা লেবাননের দক্ষিণ বন্দর শহরের সিডনের কাছে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির এইন এল-হিলওয়েহের ইসলামপন্থী দলগুলো সাথে শুরু হওয়া সংঘর্ষের তৃতীয় দিন অবস্থান নিতে দৌড়াচ্ছে। ৩১ জুলাই, ২০২৩।

লেবাননের একটি শরণার্থী শিবিরে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে তিনদিনের সংঘর্ষে সোমবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে নয়জনে পৌঁছেছে। প্রেসিডেন্ট আব্বাসের ফাতাহ পার্টির সাথে ইসলামী গোষ্ঠীগুলোর সংঘর্ষ চলছে।

লেবাননের একজন আইনপ্রণেতা সোমবার দেরিতে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেছিলেন কিন্তু এরপরেও কিছু বন্দুকযুদ্ধ চলতে থাকে এবং যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করার আগে দক্ষিণ লেবাননের এইন এল-হিলওয়েহ ক্যাম্পের সরু রাস্তায় গুলিবর্ষণ ও গোলাগুলি বন্ধ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

শনিবার এক অজ্ঞাত বন্দুকধারী ফিলিস্তিনি জঙ্গি মাহমুদ খলিলকে হত্যার চেষ্টা করে কিন্তু পরিবর্তে তার সঙ্গীকে গুলি করে হত্যা করে, তখন সহিংসতা শুরু হয়। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার মতে, রবিবার ইসলামি জঙ্গিরা ফাতাহ গ্রুপের একজন ফিলিস্তিনি সামরিক জেনারেল আবু আশরাফ আল আরমুশি এবং তিনজন নিরাপত্তা কর্মী যারা একটি পার্কিং লটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল তাদেরকে হত্যা করে। এই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার জন্য তার অনুমোদন নেই।

লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি এবং আব্বাস উভয়েই রবিবার সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।

লেবাননে ইউএনআরডব্লিউএ-তে নিবন্ধিত প্রায় ৫ লাখ ফিলিস্তিনি শরণার্থী রয়েছে; তবে প্রকৃত সংখ্যা ২ লাখ বলে মনে করা হয়। কারণ অনেকেই দেশত্যাগ করেছে কিন্তু ইউএনআরডব্লিউএ-র তালিকায় রয়ে গেছে।

লেবাননে ফিলিস্তিনিদের শুধু কাজ এবং সম্পদের মালিকানার অধিকার রয়েছে। তাদের অধিকাংশই দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে।