পশ্চিম আফ্রিকায় ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে ১,৮০০ সন্ত্রাসীহামলা

ফাইলঃ বুরকিনা ফাসোর জিবোতে ২০২২ সালের ২৬ মে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোকজন সাহায্যের জন্য অপেক্ষারত

পশ্চিম আফ্রিকায় চলতি বছরেরপ্রথম ছয় মাসে ১,৮০০,র বেশিসন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ঐসব হামলার ফলে মারাত্মকমানবিক সংকটে প্রায় ৪,৬০০ জনমারা গেছেন। মঙ্গলবার আঞ্চলিকএক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন যে এটি“নিরাপত্তাহীনতার ভয়াবহ প্রভাবেরসামান্যতম অংশ।”

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ওমর টুরে বলেন, ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস বা ইকোওয়াস নামে পরিচিত১৫টি দেশের পাঁচ লক্ষ মানুষশরণার্থী এবং প্রায় ৬২ লাখ মানুষঅভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।তিনি বলেন, ইকোওয়াস তিন কোটিমানুষের খাদ্যের প্রয়োজন বলে যে মূল্যায়ন করছে তার প্রতি পর্যাপ্তআন্তর্জাতিক সাড়া না পেলেআগামী মাসের শেষ নাগাদ এসংখ্যা বেড়ে ৪ কোটি ২০ লাখেউন্নীত হবে।

ইকোওয়াস কমিশনের সভাপতি টুরেঐ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতারনিম্নলিখিত কারণগুলো চিহ্নিতকরেছেন: সন্ত্রাসবাদ, সশস্ত্র বিদ্রোহ,সংগঠিত অপরাধ, সরকারেরঅসাংবিধানিক পরিবর্তন, অবৈধসামুদ্রিক ক্রিয়াকলাপ, পরিবেশগতসংকট এবং ভুয়া খবর। তিনিবলেন, মালি, বুরকিনা ফাসো ওগিনি সামরিক শাসনের অধীনেথাকায় সামরিক বাহিনীরপুনরুত্থান নিয়ে এই অঞ্চল উদ্বিগ্ন।

বুধবার নিজারের সৈন্যরা জানায়,তারা নিজারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদবাজুমের সরকারকে উৎখাতকরেছে।

টুরে বলেন, “পশ্চিম আফ্রিকা এবংসাহেল- বেশ কিছুদিন ধরেসমান্তরালভাবে গণতন্ত্র অর্জনেবিপরীতগতি এবং নিরাপত্তাহীনতারমুখোমুখি হয়েছে” এবংনিরাপত্তাহীনতা লক্ষ লক্ষ মানুষকেবেদনা ও দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।

টুরে বলেন, সন্ত্রাসবাদ ওনিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলায়বহুবিধ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার প্রভাব বাস্তবে দেখা যাচ্ছে। তবেসমন্বয়ের অভাব রয়েছে এবংইকোওয়াস বিভিন্ন উদ্যোগকেআঞ্চলিক কর্মপরিকল্পনায় একীভূতকরতে চায়।

যুক্তরাষাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উডনিরাপত্তা পরিষদকে বলেন, “ঐ অঞ্চল জুড়ে গণতন্ত্র বিপরীতমুখী হওয়ায়” এবং “পশ্চিম আফ্রিকায়উপকূলীয় অঞ্চলে অস্থিতিশীলতাছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবেউদ্বিগ্ন”।