অস্ট্রেলিয়ার ফুটবল কর্তৃপক্ষ এবং ফিফার সমালোচনা করলেন দেশটির আদিবাসী খেলোয়াড়রা

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের ইডেন পার্কে ২০২৩ সালের ফিফা নারী বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনামের মধ্যে একটি ম্যাচের আগে আদিবাসী সংস্কৃতিকে সম্মান জানানো হচ্ছে। (জেনা ওয়াটসন-ইউএস টুডে স্পোর্টস)

অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী সম্প্রদায়ের বর্তমান এবং প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলোয়াড়রা ফার্স্ট নেশন্স ফুটবলে উত্তরাধিকার তহবিলের অভাবের সমালোচনা করেছেন। দেশটি এবার নারী বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক।

অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ডের সাথে এই টুর্নামেন্টের সহ-আয়োজক, কিন্তু স্বাক্ষরকারীরা মঙ্গলবার বলেছে, তারা ২৯ কোটি ১০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার) “লিগ্যাসি ’২৩” পরিকল্পনায় আদিবাসীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্য তহবিলের সামান্য প্রমাণ দেখেছে। ফুটবল অস্ট্রেলিয়া এবং ফিফাকে সম্বোধন করা চিঠিতে বলা হয়েছে, টুর্নামেন্টে ব্যবহৃত "সর্বব্যাপী আদিবাসী সংস্কৃতি, প্রতীকবাদ, ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান এবং স্থাপনা” ফুটবলে আদিবাসী সংস্কৃতির “কেন্দ্রীয় মূল্য” নির্দেশ করে

আরও ব্যবহারিক পদক্ষেপে ফিফা গিফটিং, ক্যাটারিং, আসবাবপত্র, সৃজনশীল, জীববৈচিত্র্য প্রকল্পসহ টেকসই সংগ্রহের মডেলগুলোকে প্রসারিত ও বৈচিত্র্যময় করার জন্য ফার্স্ট নেশন্স এবং মাওরি ব্যবসায়িক সরবরাহকারী নেটওয়ার্কগুলোর সদস্যপদকেও তুলে ধরে।

অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা কয়েক হাজার বছর ধরে মহাদেশে বসবাস করে, কিন্তু ১৭৮৮ সালে ব্রিটেনের উপনিবেশ হবার পর থেকে তারা বহু শতাব্দী ধরে বৈষম্য এবং অবহেলার সম্মুখীন হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসীদের অধিকারকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। দেশটি এই বছর একটি গণভোট করবে যাতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, তাদেরকে প্রথমবারের মতো সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়া হবে কি না।

মরিয়ার্টি ফাউন্ডেশন আদিবাসী ছেলে-মেয়েদের জন্য বুট থেকে শুরু করে বৃত্তি পর্যন্ত সবকিছুর জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য গো ফান্ড মি-র মাধ্যমে একটি ফান্ডিং ক্যাম্পেইন চালু করেছে।