তাইফুন ডকসুরির আঘাতে নিহত অন্তত ২, বাস্তুচ্যুত কয়েক হাজার মানুষ

সুপার তাইফুন ডকসুরি লুজন দ্বীপের উত্তর অংশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পার্বত্য প্রদেশ বোনটোকের চিকো নদীতে পানি বেড়ে যায়। ফলে বেশ কিছু গাড়ি পানিতে ডুবে যায় (এএফপি)

ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে এবং কয়েকটি দ্বীপে তাইফুন ডকসুরি প্রবল বাতাস ও বৃষ্টিপাতসহ বুধবার আঘাত হেনেছে। এতে অন্তত ২ ব্যক্তি নিহত এবং হাজারো মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, ঝড়ের আঘাতে পল্লী অঞ্চলের বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে, নিচু জায়গায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে এবং গাছ উপড়ে গেছে।

সূর্যোদয়ের আগে এই তাইফুন ফুগা দ্বীপে আঘাত হানে। পরবর্তীতে এটি কাগায়ান প্রদেশের অপর এক দ্বীপে আঘাত হানে। উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন উপকূলীয় গ্রাম থেকে প্রায় ১৬ হাজার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। ডকসুরির আবির্ভাবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সেখানে স্কুল ও কর্মক্ষেত্র বন্ধ রাখা হয়।

এই ১৬ হাজার মানুষসহ উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে আরও হাজার হাজার মানুষ টাইফুন থেকে সৃষ্ট বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগের কবলে পড়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানান, এই তাইফুনটি ৭০০ কিলোমিটার প্রশস্ত এলাকা জুড়ে বাতাস ও বৃষ্টিপাত নিয়ে আঘাত হেনেছে।

উত্তরের পার্বত্য শহর বাগুইয়োর এক ১৭ বছর বয়সী বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। নগর কর্মকর্তারা জানান, বৃষ্টিপাতে বড় আকারের মাটির স্তূপ আলগা হয়ে তার বাড়ির ওপর পড়ে এবং চাপা দেয়, যার ফলে তিনি নিহত হন।

বুধবার উত্তরের ইসাবেলা প্রদেশে সাইকেল কার্টে করে রুটি বিক্রির সময় টাইফুন থেকে সৃষ্ট প্রবল বাতাসে এক বয়স্ক নারীর মাথার ওপর একটি নারিকেল গাছ ভেঙে পড়লে তিনি নিহত হন। স্থানীয় পুলিশের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ডকসুরি কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লেও এখনো ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ২৪০ কিলোমিটার গতিবেগের অব্যাহত বাতাসের কারণে মারাত্মক হিসেবে বিবেচিত। পূর্বাভাষদাতারা জানান, এটি বুধবার রাতের আগে কাগায়ানের অদূরে অবস্থিত দ্বীপ ভিত্তিক শহর কালায়ানে আঘাত হানতে পারে।