সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোনের ওপর রাশিয়ার জঙ্গি বিমানের অগ্নিগোলক নিক্ষেপ:যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী

সিরিয়ায় মিশনে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের একটি ইউএস এমকিউ-৯ ড্রোনের বিপদজনক দূরত্ব দিয়ে একটি রুশ জঙ্গি বিমান উড়ে যায়, পরে এর ওপর সরাসরি ফ্লেয়ার ছোঁড়ে; (ইউএস এয়ার ফোর্সের ছবি), ২৩ জুলাই ২০২৩।

রাশিয়ার একটি যুদ্ধবিমান সিরিয়ার আকাশে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোনের কয়েক মিটার দূর দিয়ে উড়ে যায় এবং আমেরিকার এই ড্রোনের ওপর অগ্নি গোলক ছুঁড়ে আঘাত করে এবং এটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একথা জানিয়েছে। এটি হলো, এই অঞ্চলে রাশিয়ার আগ্রাসী বাধা প্রদানের সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা।

বিমান বাহিনীর একজন সিনিয়র কমান্ডার বলেছেন, রুশদের রবিবারের এই পদক্ষেপ ছিলো এমকিউ-নাইন রিপার ড্রোনটিকে আকাশ থেকে সরিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা। আর এই ঘটনা ঘটলো, এই অঞ্চলে ক্রু বহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি বিমানের বিপজ্জনক দূরত্ব দিয়ে একটি রুশ জঙ্গি বিমান উড়ে যাওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ পর। ঐ ঘটনায়, বিমানে থাকা আমেরিকার চার নাগরিকের জীবন বিপন্ন করে তুলেছিলো।

গ্রিনকেউইচ বলেন, ড্রোনটি পরিচালনাকারী একজন ক্রু সদস্য এটিকে উড়ন্ত অবস্থায় রাখেন এবং এটিকে তার ঘাঁটিতে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন।

রবিবারের ঘটনাটি সিরিয়ার ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া রুশ যুদ্ধবিমান এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিমানের মধ্যে সংঘটিত ধারাবাহিক সংঘর্ষের সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়ার যুদ্ধবিমানগুলো বারবার যুক্তরাষ্ট্রের এমকিউ-নাইন ড্রোনকে হয়রানি করেছে। ড্রোনগুলো প্রধানত পশ্চিম সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠী বিরোধী মিশন পরিচালনা করছে।

যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা, এমন মুখোমুখি অবস্থানের সময় একটি অ-বিরোধপূর্ণ ফোন লাইনের মাধ্যমে ঘন ঘন যোগাযোগ করে, তারা একে অপরের কাজের প্রতিবাদ জানায়।

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৯০০ জন সেনাসদস্য রয়েছে। অন্যরা ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের লক্ষ্য করে মিশন পরিচালনা করতে সেখানে আসা-যাওয়া করে।