যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর পর উত্তর কোরিয়ার দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

সিউল রেলওয়ে স্টেশনে টিভি স্ক্রিনে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের একটি ফাইল চিত্র দেখানো হচ্ছে। ( ২৫ জুলাই, ২০২৩)

উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব সাগরে দুটি স্বল্প পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানিয়েছেন, গত সপ্তাহ থেকে তৃতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনা ঘটেছে। উত্তর কোরিয়া, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের নিকটবর্তী এলাকা থেকে মধ্যরাতের ঠিক আগে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এতে আরও বলা হয়, কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলের জলসীমায় অবতরণের আগে দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে।

বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি স্বরূপ “গুরুতর উষ্কানি” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, তার সরকার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ও সিউলের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের পাশাপাশি টোকিও নজরদারির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথয অনুযায়ী ঐ ক্ষেপণাস্ত্রে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, পারমাণবিক চালিত যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন ইউএসএস অ্যানাপোলিস জেজু দ্বীপের একটি বন্দরে পৌঁছেছে। এটি উত্তর কোরিয়াকে ভয় দেখানোর জন্য এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত দৃশ্যমানতা বাড়ানোর জন্য মিত্রদের প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ কমান্ড জানিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সে দেশে ঢুকে পড়া আমেরিকান সেনার ব্যাপারে 'কথোপকথন' শুরু করেছে।

ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে জাতিসংঘের বার্তা পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে এবং এরপর থেকে তারা কোনো তথ্য দেয়নি বা মন্তব্য করেনি।