কঙ্গোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ১৩ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এক সেনা সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহতের বেশির ভাগ শিশু। মঙ্গলবার তার বিচার হবে বলে জানিয়েছে দেশটির একটি সামরিক সূত্র।
শনিবার নিয়াকোভা গ্রামে হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি তার অনুপস্থিতিতে তার নিজের সন্তানকে কবর দেওয়া হয়েছে তা সহ্য করতে না পেরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা যায় ।
নিয়াকোভা ইতুরি প্রদেশের রাজধানী বুনিয়া থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার (৪০ মাইল) পূর্বে জুগু অঞ্চলের একটি জেলে গ্রাম, যা কঙ্গোর সহিংসতার হটস্পটগুলির মধ্যে একটি। যেখানে মারাত্মক হামলা সাধারণ একটি ব্যাপার।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জুলস নগো এএফপিকে বলেন, “তার সন্তান মারা গেছে এবং তাকে না জানিয়েই তাকে দাফন করা হয়েছে, এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে সৈন্যটি বাড়ি ফিরে বেসামরিক নাগরিকদের উপর গুলি চালায়।
নিহত ১৩ জনের মধ্যে নয়জন শিশু রয়েছে, যাদের মধ্যে দুই জন সৈন্যটির নিজের সন্তান।
ইতুরি প্রদেশের সামরিক আদালতের জ্যেষ্ঠ সামরিক প্রসিকিউটর ম্যাজিস্ট্রেট কর্নেল জোসেফ মাকেলে এএফপিকে বলেন, বাবি এনডোম্বে ওপেতু নামে ৩২ বছর বয়সী সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার “হত্যা ও আদেশ লঙ্ঘনের” অভিযোগে মামলা করা হবে।
নগোঙ্গো বলেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি উগান্ডা সীমান্তবর্তী আলবার্ট হ্রদের তীরে নিয়াকোভা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার (১.২৪ মাইল) দূরে টিচোমিয়ায় অবস্থিত ৩৩২তম নৌবাহিনীর সদস্য ছিলেন।