হিরো আলম বলেন, “উপনির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে এবং ভোট কারচুপির ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে। আমি এই নির্বাচনের শেষ দেখবো।”
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। আর, হিরো আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৬০৯ ভোট।বিজয়ী প্রার্থী আরাফাতকে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ পাঠ না করাতে স্পিকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন হিরো আলম।
ইসিতে আপিল খারিজ হলে কী করবেন; এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, “যেহেতু আমার কাছে উপনির্বাচনে ভোট কারচুপি ও অনিয়মের প্রমাণ আছে; তাই আমি হাইকোর্টে যাবো এবং এর শেষ দেখবো।”
নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া আবেদনে হিরো আলম লিখেছেন, “গত ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে আমি একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। নির্বাচনের দিন আমি ই-মেইলের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছিলাম যে নির্বাচনের এক ঘণ্টার মধ্যে আমার ৮৮ জন এজেন্টকে ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ভোট কারচুপি ও অনিয়ম হয়েছে।”
তিনি লিখেছেন, “বিকাল ৩টায় আমি ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্রে গেলে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। দেশ-বিদেশের মানুষ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে হামলা দেখেছে। এ ছাড়া, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের তাড়িয়ে দিয়ে ভোট গণনা শুরু করেছিলেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপন্থী।”
নির্বাচনের ফল বাতিল, ঢাকা-১৭ আসনে পুনর্নির্বাচন এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।