যুক্তরাষ্ট্রের সেনার সীমান্ত অতিক্রমের বিষয়ে উত্তর কোরিয়ার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই: যুক্তরাষ্ট্র

উত্তর কোরিয়ার একটি সামরিক পাহারা চৌকির পেছন দিকটা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামনের চৌকি দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার পাজু সীমান্ত এলাকায়। ২০ জুলাই , ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে আমেরিকান যে সৈন্যে কোরিয়ার ভারি অস্ত্র সজ্জিত সামরিকীকৃত সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়া এখনও তার ভাগ্য নিয়ে আলোচনা করার প্রচেষ্টায় সাড়া দেয়নি। সম্ভাব্য শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং সামরিক বাহিনী থেকে অব্যাহতির মুখোমুখি হবার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

সেনা সদস্য প্রাইভেট সেকেন্ড ক্লাস ট্র্যাভিস কিং মঙ্গলবার অজ্ঞাত কারণে দুই কোরিয়ার সীমান্তে সৈন্য মুক্ত এলাকায় বেসামরিক সফরে উত্তর কোরিয়ায় চলে যান। ২৩ বছর বয়সী কিং ‘এর একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে একদিন পর যুক্তরাষ্ট্রে আসার কথা। গত সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার কারাগার থেকে হামলার দায়ে প্রায় দুই মাস কারাভোগের পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, পেন্টাগনের কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়ার পিপলস আর্মির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হননি। সুইডিশ কূটনৈতিক কর্মকর্তারা অতীতে উত্তর কোরিয়ার সাথে আমেরিকানদের কনস্যুলার পরিষেবা দিয়ে থাকতেন তবে কোভিড -১৯ মহামারীর শুরুতে পিয়ংইয়ং বিদেশীদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর তারা সেখানে ফিরে যাননি বলে জানা গেছে।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র পানমুনজমে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জাতিসংঘ কমান্ডের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে একটি হটলাইন যা “পিংক ফোন” নামে পরিচিত তার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।

তবে বর্তমানে উত্তর কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র বা দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে জানা মতে কার্যত কোনও সংলাপ হয় না।

যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়া ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধের সময় লড়াই করেছিল এবং যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে লড়াই থামলেও কার্যত এখনও যুদ্ধ চলছে কারণ তখন তাদের মধ্যে শান্তি চুক্তি হয় নাই। এই দুই দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।