হিজাব না পরার অপরাধে ইরানে অভিনেত্রীর সাজা

২০২৩ সালের ১৮ জুলাই নারীরা তেহরানে কেনাকাটা করছেন।

বুধবার স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ইরানের একটি আদালত জনসমক্ষে বাধ্যতামূলক হিজাব না পরার জন্য একজন অভিনেত্রীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

বার্তা সংস্থা ফারস জানিয়েছে, “আফসানেহ বায়েগানকে হিজাব না পরার জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ বছরের বেশি বরখাস্ত করা হয়েছে।”

ইরানের আইন অনুযায়ী নারীদের জনসমক্ষে মাথা এবং ঘাড় ঢেকে রাখতে হয়।

এতে বলা হয়েছে, আদালত বায়েগানকে “পরিবার-বিরোধী ব্যক্তিত্বের কারণে মানসিক ব্যধির চিকিৎসার জন্য” একটি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে সাপ্তাহিক পরিদর্শন করার এবং চিকিৎসার পরে একটি স্বাস্থ্য সার্টিফিকেট জমা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।

ফার্স জানিয়েছে, রায়ে তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করা এবং দুই বছরের জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ত্যাগ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

৬১ বছর বয়সী অভিনেত্রী সিনেমার একটি অনুষ্ঠানে একটি হিজাব না পরে হাজির হওয়ার পরে এবং সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার পরে এই রায় আসে।

১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইরানি নারীদের জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

গত বছর সেপ্টেম্বরে কঠোর পোশাক নীতি লঙ্ঘনের কারণে ২২ বছর বয়সী ইরানি কুর্দি নারী মাহসা আমিনির গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে তার মৃত্যুর ফলে শুরু হওয়া বিক্ষোভেও বায়েগান সমর্থন জানিয়েছিলেন।

বিক্ষোভের পর থেকে ইরানের নারীরা ক্রমবর্ধমানভাবে পোশাক নীতি লঙ্ঘন করেছে। রবিবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আইন উপেক্ষাকারীদের ধরার লক্ষ্যে পুলিশ টহল বৃদ্ধি করেছে বলে জানিয়েছে।