বুধবার কেনিয়ার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে। পূর্ববর্তী বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠায় ১২ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পরে সরকার সতর্কতা জারি করেছিল। সেই সতর্কতা অমান্য করে বিক্ষোভকারীরা আবার রাস্তায় নেমেছিল।
বিরোধীরা প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর সরকারের বিরুদ্ধে টানা তিন দিন বিক্ষোভ করার শপথ নিয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে।
নাইরোবি এবং অন্যান্য শহরে স্কুল ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। অনেক হতাশ কেনীয় উভয় পক্ষকে অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে অনুরোধ করেছিল।
পুলিশ নাইরোবির কিবেরা বস্তিতে বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভকারীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এলাকাটি ওডিঙ্গার দুর্গ বলা যায়। টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের সময় রাজধানীর বাণিজ্যিক জেলার কার্যালয়গুলোর বেশিরভাগই বন্ধ ছিল।
বিরোধী নেতা রাইলা ওডিঙ্গা এই মাসে তৃতীয়বারের মতো সরকারের বিরুদ্ধে এমন গণ সমাবেশ করেছেন। তিনি বলেন, এই সরকার অবৈধ এবং এটি জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের জন্য দায়ী।
কেনিয়াকে প্রায়ই অশান্ত হয়ে ওঠা পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলে একটি স্থিতিশীল গণতন্ত্র হিসেবে দেখা হয়। ১৩টি পশ্চিমা দেশ মঙ্গলবার সাম্প্রতিক বিক্ষোভে সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি যৌথ বিবৃতি জারি করেছে।
কেনিয়ার প্রাইভেট সেক্টর অ্যালায়েন্সের অনুমান, প্রতিদিনের বিক্ষোভের জন্য অর্থনীতিতে গড়ে ২ কোটি ১৮ লাখ ডলার ব্যয় হয়।
মঙ্গলবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, কেনিয়ার নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অধিকার রক্ষা করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তারা পূর্ববর্তী বিক্ষোভগুলিতে পুলিশের প্রতিক্রিয়ার নিন্দা জানিয়েছে।