সাবেক আরএফই/আরএল সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে বেলারুশ

সাংবাদিক ইহার কার্নেই। (ফাইল ছবি)

রেডিও ফ্রি ইউরোপ/রেডিও লিবার্টি বা আরএফই/আরএল-সহ অন্যান্য নিউজ আউটলেটের হয়ে কাজ করা একজন বিশিষ্ট সাংবাদিককে আটক করেছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ কর্তৃপক্ষ।

সোমবার বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে, সাংবাদিক ইহার কার্নেইয়ের অ্যাপার্টমেন্টে এক অভিযান চালিয়ে, কম্পিউটার ও ফোন জব্দ করে এবং ওই সাংবাদিককে আটক করে পুলিশ।

কার্নেইকে আক্রেস্টিনা হাজতখানায় রাখা হয়েছে এবং তার মেয়ে পলিনার মতে, তাকে আইনজীবী কিংবা পরিবারের সাথে কোন রকম যোগাযোগ করতে দেয়া হচ্ছে না।

কার্নেই এর মেয়ে আরএফই/আরএলকে বলেছে, "বাবাকে ১০ দিনের জন্য আটকে রাখা হয়েছিল; যতদূর জানি, তিনি এখন আক্রেস্টিনায় আটক আছেন। আমাদের বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়েছে।"

বেলারুশিয়ার মানবাধিকার গোষ্ঠী ভিয়াসনা অনুসারে, আক্রেস্টিনা হাজতখানাটি খুবই ভয়ংকর এবং বন্দীদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করার জন্য পরিচিত।

কারাবন্দী সাংবাদিকের বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়, ওয়াশিংটনে অবস্থিত বেলারুশিয়ার দূতাবাস। তারা ভিওএ-কে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের সাথে যোগাযোগ করতে বলে।

কার্নেই একজন অত্যন্ত সুপরিচিত সাংবাদিক, যিনি আগে আরএফই/আরএল-সহ অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমের হয়ে কাজ করেছেন।

আরএফই/আরএল হল ভিওএ-এর মতোই ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়ার অধীনে একটি স্বাধীন সংবাদ নেটওয়ার্ক।

২০২১ সালে, অন্যান্য স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম এবং নাগরিক অধিকার গোষ্ঠীগুলির সাথে আরএফই/আরএল-কেও একটি "চরমপন্থী সংগঠন" হিসাবে চিহ্নিত করে বেলারুশ কর্তৃপক্ষ।

২০২০ সালের আগস্টের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিজয় ঘোষণা করার পর, দেশব্যাপী গণ-বিক্ষোভ শুরু হলে, বিরোধী এবং সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বরকে রুদ্ধ করে রেখেছে মিনস্ক।

সেই নির্বাচনের আগে ও পরে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে কার্নেইসহ কয়েক ডজন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছিল।

আরএফই/আরএল-এ কাজ করা দু'জন সাংবাদিকসহ প্রায় ৩০ জনেরও বেশি সাংবাদিক বর্তমানে সেখানে আটক রয়েছেন।

এর আগেও, ২০২০ সালে ইহার লোসিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং একটি কঠোর শ্রম শিবিরে ১৫ বছরের সাজা ভোগ করতে হয়েছে তাকে। এছাড়া, ওয়েব সম্পাদক আন্দ্রে কুজনেচিককে ২০২১ সালের নভেম্বরে আটক করা হয়েছিল এবং তিনিও ছয় বছরের সাজা ভোগ করছেন।

লুকাশেঙ্কোর শাসনের অধীনে বেলারুশ কখনই মুক্ত নয়। ২০২০ সাল থেকে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে অবরুদ্ধ সমাজগুলির মধ্যে একটি এবং সাংবাদিকদের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম কারাগারগুলির একটিতে পরিণত হয়েছে।