থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রত্যাশী পিটা লিমজারোয়েনরাত মঙ্গলবার বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে তার মুভ ফরওয়ার্ড পার্টির উচ্চাভিলাষী সংস্কার অভিযানের গতি সামঞ্জস্য করতে তিনি ইচ্ছুক, তবে রাজতন্ত্রের অবমাননা নিষিদ্ধ, এমন আইনটি পরিবর্তন করার পরিকল্পনা থেকে পিছু হটবেন না বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো থাইল্যান্ডের সংসদে ভোট হতে যাচ্ছে। ভোটাভুটির প্রাক্কালে দেশটির শীর্ষ পদে জয়লাভ প্রত্যাশী পিটা, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাথে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে, তার ক্ষমতা গ্রহণের পথ অবরুদ্ধ করার সামরিক সংস্থার প্রচেষ্টাকে "ভাঙা রেকর্ড" বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, পরিবর্তনের জন্য উন্মুখ জনসাধারণের সাথে থাইল্যান্ডও একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।
৪২ বছর বয়সী পিটা বুধবার প্রধানমন্ত্রী হবার প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয়বারের মতো সংসদীয় ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। গত সপ্তাহে দেশটির সংসদে প্রথম ভোট হয়। এতে পিটা প্রধানমন্ত্রী হতে প্রয়োজনীয় ভোট পেতে ব্যর্থ হন। প্রধানমন্ত্রী হতে তাঁর সংসদের মোট সদস্যদের অর্ধেকের বেশি ভোটের দরকার ছিল।
তিনি বলেন, "এটা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল, একই জিনিস, একই ভেন্যু। ভাঙা রেকর্ড। কিন্তু যুগের অনুভূতি বদলে গেছে।"
"আগামীকাল যাই ঘটবে ঘটুক, তা সত্ত্বেও সমাজে অনেক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। তারা নতুন কিছু চায়, তাদের দাবী একেবারেই নতুন কিছু একটার।"
মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি ব্যাহতকারী, প্রতিষ্ঠা বিরোধী সংস্কার এজেন্ডার জন্য ব্যাপক যুব সমর্থন অর্জন করেছে এবং গত ১৪ মে নির্বাচনে রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করে বিস্ময়করভাবে বিজয়ী হয়েছিল, যা প্রায় এক দশকের রাজকীয় সামরিক বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত বা সমর্থিত সরকারকে একটি শক্তিশালী প্রত্যাখ্যান হিসাবে দেখা হয়েছিল।
নির্বাচনের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নিতে গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে প্রথম ভোট হয়। সেই ভোটে ২৪৯ জন সিনেটরের মধ্যে মাত্র ১৩ জনের সমর্থন পেয়েছিলেন পিটা। মঙ্গলবার, তাঁকে নয়, গণতন্ত্রের নীতির প্রতি ভোট দিতে তিনি আইন প্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু, বুধবার আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে পিটার দ্বিতীয় দফার মনোনয়ন চ্যালেঞ্জ করতে পারেন বেশ কিছু সিনেটর। তাঁরা যুক্তি দিতে পারেন, যিনি প্রথমবার সংসদে অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাকে দ্বিতীয়বার আর মনোনয়ন দেয়া উচিত হবে না।
একই দিনে, একটি মামলা আমলে নেওয়ার কথা দেশটির সাংবিধানিক আদালতের। ওই মামলায় পিটার বিরুদ্ধে শেয়ারের ব্যাপারে নির্বাচনী নিয়মভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, "আমি ভোটারদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তার প্রতি এখনো অটল আছি... রাজনীতির ঊর্ধ্বে হচ্ছে প্রতিষ্ঠান। এই দেশে শাসনের এটাই একমাত্র বিকল্প।"