ইরানের রাস্তায় আবার সক্রিয় নৈতিকতা পুলিশ

ইরানের রাজধানী তেহরানের কেন্দ্রস্থলে একটি বাজারে পুতুলের মাথায় পরিয়ে রাখা হিজাব দেখছেন এক নারী। (ফাইল ছবি)

ইরানের বাধ্যতামূলক পর্দা আইন প্রয়োগকারী নৈতিকতা পুলিশ আবারও তাদের কাজে নেমেছে বলে রবিবার জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত বছর ২২ বছর বয়সী তরুণী মাহসা আমিনির পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশব্যাপী সরকার বিরোধী বিক্ষোভের কারণে নৈতিকতা পুলিশের উপস্থিতি অনেকাংশেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। খুব ঢিলেঢালাভাবে মাথার স্কার্ফ পরার অভিযোগে, আমিনিকে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ আটক করেছিল।

এমনকি রাস্তার বিক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হলেও, আমিনির মৃত্যুর পর থেকে ইরানের অনেক নারী, প্রকাশ্যে বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরোধিতা করে আসছেন।

ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর মুখপাত্র সাইদ মনতাজার আল-মাহদি, বা ফারাজা রবিবার বলেছেন, "জনগণের দাবি, বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠী ও প্রতিষ্ঠানের অনুরোধের প্রতিক্রিয়া এবং প্রেসিডেন্ট ও বিচার বিভাগের করা জোরালো দাবীর" প্রেক্ষিতে নৈতিকতা পুলিশকে আবারও ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কেউ যদি সামাজিক রীতিনীতি অমান্য করে, কিংবা "অপ্রচলিত কোনও পোশাক" পরিধান করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত এপ্রিল মাসে, বাধ্যতামূলক হিজাব আইন কার্যকর করার জন্য একটি নতুন অভ্যন্তরীণ নজরদারি কর্মসূচি চালু করেছে ইরান।