পারস্য উপসাগরে আঞ্চলিক বিরোধ নিয়ে মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া: রুশ রাষ্ট্রদূতকে ইরানের তলব

FILE - ফাইল-তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল ইলাহিয়া। ১৯ মার্চ, ২০২৩। (মজিদ আসগারিপুর/রয়টার্স মারফত পশ্চিম এশিয়া সংবাদ সংস্থা)

পারস্য উপসাগরে বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে ইরানের দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই সপ্তাহের শুরুর দিকে আরব দেশগুলির সাথে মস্কো যৌথ বিবৃতি জারি করার পর বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ইরান।

ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে এটা এক বিরল দ্বিমত। মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে তাদের সম্পর্ক গভীর হয়েছে। ইরান রাশিয়াকে ঘাতক ড্রোন সরবরাহ করেছে যা ইউক্রেনকে বিধ্বস্ত করতে ব্যবহার করা হয়েছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জোরালো মদতদাতাও এই দুই দেশ।

ইরানের সরকারি আইআরএনএ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়া ও উপসাগরীয় সমন্বয় পরিষদের মধ্যে মস্কোতে বৈঠকের পর সোমবার যৌথ বিবৃতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই পরিষদে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ও ওমান।

সৌদি প্রেস সংস্থার খবর অনুযায়ী এই বিবৃতিতে “দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বা আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের মাধ্যমে তিনটি দ্বীপ যথা গ্রেটার তুঁব, লেসার তুঁব ও আবু মুসার সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছতে” সমস্ত উদ্যোগকে সমর্থন করে বলে জানিয়েছে ওই মন্ত্রক।

১৯৭১ সালে ব্রিটিশ বাহিনী চলে যাওয়ার পর এই তিনটি দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইরান এবং এই দ্বীপগুলিকে তাদের দেশের ‘অবিচ্ছেদ্য’ অংশ বলে বিবেচনা করে। সংযুক্ত আরব আমিরাতও এই দ্বীপগুলি দাবি করেছে এবং দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য চাপ দিয়ে আসছে।

রাশিয়ার নাম না করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল ইলাহিয়া ট্যুইট করে বলেন,”ইরানের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার বিষয়ে কোনও পক্ষের সাথে দাঁড়াই না।”