ট্রাকের কন্টেইনারে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৩৯ অভিবাসীর মৃত্যুর দায়ে একজনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

ফরেনসিক পুলিশ কর্মকর্তারা ইংল্যান্ডের গ্রেসে যেখানে প্রচুর সংখ্যক মৃতদেহ নিয়ে একটি ট্রাক পাওয়া গিয়েছিল সেই স্থানে উপস্থিত। ২৩ অক্টোবর, ২০১৯। ফাইল ছবি।

একটি আন্তর্জাতিক মানব পাচার চক্রের অংশ এক রোমানিয়ান ব্যক্তিকে ভিয়েতনামের ৩৯ জন অভিবাসীর মৃত্যুর জন্য ১২ বছরের বেশি কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঐ অভিবাসীরা ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড যাওয়ার পথে একটি ট্রাকের ট্রেলারে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়।

ওল্ড বেইলি নামে পরিচিত সেন্ট্রাল ক্রিমিনাল কোর্টে বিচারপতি নিল গার্নহাম বলেছেন, ইংল্যান্ডে আসার জন্য মরিয়া মানুষদের শোষণ করে বিপুল মুনাফা অর্জনকারী একটি অপারেশনে মারিয়াস মিহাই ড্রাঘিসি ছিলেন রিং লিডারের ডান হাত এবং "অত্যাবশ্যক অংশ"।

গার্নহাম বলেন, তারা যখন শ্বাস নিতে পারছিল না তখন তারা প্রিয়জনকে পাঠানোর জন্য যে বার্তা এবং রেকর্ডিংগুলো তৈরি করে সেগুলোতে “তারা যে মারা যাচ্ছিল তার স্বীকৃতি” পাওয়া যায়।

তথাকথিত ভিআইপি পরিষেবার জন্য ভিক্টিমরা প্রায় ১৩ হাজার পাউন্ড (১৬ হাজার ৭৭০ ডলার) প্রদান করেছিল। তারা ভেতরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৮ দশমিক ৫ সেন্টিগ্রেড) ছাড়িয়ে যাওয়ায় একটি ধাতব খুঁটি দিয়ে পাত্রে ছিদ্র করার বৃথা চেষ্টা করে। এরপর তারা মারা যায়।

প্রসিকিউটর বলেন, পালানোর কোনো পথ ছিল না এবং কেউই তাদের কান্নার শব্দ শুনতে পায়নি।

একজন কমবয়সী মা প্রিয়জনের কাছে একটি বার্তা লিখেছিলেন যা কখনো পাঠানো হয়নিঃ "সম্ভবত কন্টেইনারে মারা যাবো। আর শ্বাস নিতে পারবো না।"

২৮ জন পুরুষ, ৮ জন নারী এবং তিন শিশু- এদের বয়স ১৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে। এদের প্রায় অর্ধেক উত্তর মধ্য ভিয়েতনামের এনগে আন প্রদেশের বাসিন্দা। নিহতদের মধ্যে একজন ইটভাটার শ্রমিক, একজন রেস্টুরেন্ট কর্মী, একজন মেনিকিওর টেকনিশিয়ান,একজন তরুণ বিউটিশিয়ান এবং একজন গ্র্যাজুয়েট ছিলেন।

যাতায়াতের খরচ দিতে গিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়া ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, তারা ক্ষতির কবলে পড়েছেন।