ভারতে যমুনা নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেল। বিগত দশ বছরে যমুনার এমন ভয়াল রূপ দেখা যায়নি। প্রবল বৃষ্টি, দুর্যোগে ফুঁসছে নদী। ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কের প্রহর গুনছেন দিল্লিবাসী।
যমুনার জল বিপদসীমা অতিক্রম করলেই, নীচু এলাকায় মানুষজনকে অন্যত্র সরানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অতি ভারী বৃষ্টির জেরে যমুনা নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করতেই শুরু হয়েছে নদী সংলগ্ন নীচু এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর জলস্তর সাঙ্ঘাতিকভাবে বেড়ে গেছে। বন্যার সতর্কতা জারি হয়েছে রাজধানীতে।
মঙ্গলবার ১১ জুলাই সকালে জলস্তর ২০৬.৩২ মিটার স্পর্শ করতেই,যমুনা নদী সংলগ্ন নীচু স্থানগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে পার্শ্ববর্তী রাজ্য হরিয়ানার হাতনিকুণ্ড বাঁধ থেকে জল ছাড়ার পর। এরপরেই বিপদের আশঙ্কায় নীচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিল্লি সরকার ১৬টি কন্ট্রোলরুম খুলেছে। জমা জলের সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যমুনার জলস্তর বেড়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে তিনি সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের পরামর্শ নিচ্ছেন। তবে সেখানকার বিশেষজ্ঞরা অবশ্য মনে করছেন, দিল্লিতে এবার বন্যা পরিস্থিতি আসবে না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সব রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে, তাদের সকলেরই উচিত একজোট হয়ে কাজ করা।’’ হরিয়ানা সরকার যমুনার হাতনিকুণ্ড বাঁধ থেকে প্রায় ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার পরেই বন্যার আশঙ্কা আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
১৯৭১ সালে বন্যা হয়েছিল ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। তারপর থেকে বন্যা আটকাতে অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে হরিয়ানা থেকে আট লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হলেও দিল্লিতে বন্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।