ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ৫০০ তম দিনে, শনিবার সকালের ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সেনাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন,”আমাদের প্রতিটি সৈন্য…আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ, জাতীয় রক্ষী, আমাদের সীমান্তরক্ষী, ইউক্রেনের নিরাপত্তা বিভাগ, জাতীয় পুলিশ, আমাদের লিয়াজোঁ কর্মকর্তা, আমাদের জনগণ…আমি আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই। ইউক্রেনের জন্য যারা লড়াই করছে, তাদের সকলকে ধন্যবাদ। আমরা অবশ্যই জয়ী হবো।”
জেলেনস্কি এই ভাষণ দেন স্নেক দ্বীপে। রাশিয়ার আগ্রাসনের শুরুর দিকে, কৃষ্ণসাগরীয় এই দ্বীপের প্রতিরক্ষায় থাকা সেনারা, রুশ বাহিনীকে মোক্ষম জবাব দিয়েছিলো,যাতে তারা অত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। রাশিয়া শেষ পর্যন্ত এই দ্বীপ দখল করে নিলেও, ইউক্রেন তা পুনরুদ্ধার করে।
যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে, ইউক্রেনকে তারা প্রচুর গোলাবারুদ ও সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। আর নেটোর নেতা জানিয়েছেন, ইউক্রেনকে কী করে আরো তাড়াতাড়ি জোটে অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে এই সামরিক জোট আগামী সপ্তাহে এক শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হবে।
মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ শুক্রবার ব্রাসেলস-এ সংবাদদাতাদের বলেন,আগামী সপ্তাহে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে অনুষ্ঠেয় নেটোর সদস্যদের বৈঠকে তাদের সেই লক্ষ্যের কথা আবারো উল্লেখ করা হবে, শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন এই জোটের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে, যতদিন যুদ্ধ শেষ না হয়, ততদিন সদস্যপদ নিয়ে আলাচনা হবে না।
ইউক্রেন কখন বা কীভাবে জোটে যোগ দিতে পারে, এই প্রশ্ন করা হলে, স্টলটেনবার্গ বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ”ইউক্রেন যাতে টিকে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
ইউক্রেনে গুচ্ছ গোলা ও সরঞ্জাম সরবরাহের পদক্ষেপের সমর্থনে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই উদ্যোগকে “কঠিন সিদ্ধান্ত” বলে অভিহিত করেন।সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন,”এই পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সম্মত হতে, আমার বেশ খানিকটা সময় লেগেছে।”