চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ‘আন্তরিক ও গঠনমূলক’ বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি

বেইজিং-এর গ্রেট হল অফ দ্য পিপলে বৈঠকের সময় চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং (ডানে) যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেনের সাথে করমর্দন করছেন; ৭ জুলাই, ২০২৩।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন শুক্রবার বেইজিং-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর সাথে “আন্তরিক ও গঠনমূলক” বৈঠক করেছেন। ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েলেন “চীনের সাথে সুস্থ অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ইচ্ছা নিয়ে আলোচনা করেন; যা যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমিক এবং ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসহ দুই দেশের জন্য লাভজনক হবে।

তিনি “স্বল্প-উপার্জনের জন্য ঋণ জর্জরিত দেশ, উদীয়মান অর্থনীতির দেশ, জলবায়ু অর্থায়ন, বৈশ্বিক সামষ্টিক অর্থনীতি ও বিভিন্ন আর্থিক সমস্যা এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে, ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনৈতিক স্বার্থ ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। আর, চীনের অগ্রগতি, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চ্যালেঞ্জ নয় বরং একটি সুযোগ। বেইজিং বলেছে, বৈঠকে ইয়েলেন জানিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র “আলাদা হতে চায় না, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে চায় না। আর, চীনের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্থ করার কনো অভিপ্রায় নেই তাদের।”

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রক বলেছে,”চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সমন্বয় ও সহযোগিতা দৃঢ় করা; অভিন্ন উন্নয়ন ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য হাত মেলানো।

উভয়পক্ষই ইয়েলেনের এই সফরকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছে। তবে, এসময় আরো উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করা হয়নি।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যাঁ পিয়েরে শুক্রবার বলেন,”চীন বিশ্বমঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ কুশীলব হতে চলেছে এবং তাদের এই প্রবনতা অব্যহত থাকবে।” তিনি আরো বলেন, “তীব্র প্রতিযোগিতার জন্য প্রয়োজন তীব্র কূটনীতি।”

ইয়েলেন বৃহস্পতিবার বেইজিং-এ পৌঁছান। তিনি টুইট করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন “নানা বিষয়ে আমাদের দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগকে গভীর করার জন্য তার প্রশাসনকে দায়িত্ব দিয়েছেন এবং আমার সফরে আমি তা-ই করতে আগ্রহী।”