ক্যামেরুনে হামের টিকা দেয়া হলেও দ্বিধা অব্যাহত রয়েছে 

ফাইল – ২০১৩ সালের ১২ এপ্রিল পূর্ব ক্যামেরুনের নানগুঙ্গুতে একটি শিশুকে হামের টিকা দেয়া হয়।

ক্যামেরুনের কর্মকর্তারা বলছেন, ছেলে বেলায় যেসব রোগের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর প্রথম বড় ধরনের টিকা-প্রদান অভিযানে লক্ষ লক্ষ শিশুকে তা দিতে তারা দ্বিধাবোধ করছেন।

দেশটিতে হাম ওরুবেলার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ বছর হামও রুবেলায় ১৮ জন শিশু প্রাণ হারিয়েছে এবং ৪,০০০ ‘এর বেশি অসুস্থ হয়েছে। জনস্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ক্যামেরুনে ২০০ টিরও বেশি হাসপাতালে ৫৫ লক্ষেরও বেশি শিশুকেহাম ওরুবেলার টিকা দেওয়ার জন্য কয়েক হাজার টিকাদানকারী কর্মী পাঠানো হয়েছে।

সরকার বলছে, ১০ বছরের কমবয়সী প্রতিটি শিশুকে টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে টিকাদানকারীরা বাড়ি বাড়ি, গির্জা, মসজিদ,বাজার এবং শিবিরগুলো পরিদর্শন করছেন।

৩৬ বছর বয়সীকাঠমিস্ত্রি অনজিন পিয়েরে বলেন, ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াওনডের নিকটবর্তী নিয়োম এলাকায় তিনি তারতিন সন্তানকে টিকা দিতে বাধা দেন।

তিনি বলেন, কেন সরকার ১০বছরের কমবয়সী সবশিশুকে টিকা দিতে চায় তা তিনি বুঝতে পারছেননা। বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সর্বসাধারণের ব্যবহৃত প্রকাশ্য স্থানে যাওয়া উচিতনয়।

অ্যানজিন বলেন, তিনি কখনও টিকা নেন নি এবং তার সন্তানদের টিকা দেওয়ার কোনও কারণ দেখছেন না।

দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রকের সরকারি চিকিৎসা কর্মি জেনেট মলুয়া বলেন, ৯ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের দেশব্যাপী টিকাদানের আওতায় আনা হচ্ছে । হামের প্রাদুর্ভাবে এদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

মোলোয়া বলেন, হাম, মাম্পস এবং রুবেলার টিকা নিরাপদ এবং আরেকবার নিলেও তাতে কোনও ক্ষতি নেই।

ক্যামেরুনের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বুধবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের এই টিকা প্রদান অভিযানে প্রায় ৫৫ লাখ শিশুর মধ্যে ৩০ শতাংশেরও কম শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। সরকার বলছে, আস্থার অভাব হচ্ছে দ্বিধাগ্রস্ত হবার প্রধান কারণ। উপরন্তু, টিকা করণের তথ্যের অভাব এবং টিকাদান কেন্দ্র এবং হাসপাতাল অনেক দূরে হাওয়ার কারণে মায়েরা তাদের সন্তানদের টিকা দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতে অপারগ।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের এমএমআর ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেয়া নিশ্চিত করতে। প্রথম ডোজ শুরু হয় ১২ থেকে ১৫ মাস বয়সের মধ্যে এবং ৪ থেকে ৬ বছর বয়সে দ্বিতীয় ডোজ দিতে হয়।