জিআই স্বীকৃতি পেল বগুড়ার দই এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম

জিআই স্বীকৃতি পেল বগুড়ার দই এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম

ভৌগোলিক নির্দেশক (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বগুড়ার বিখ্যাত দই এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আম।

বাংলাদেশ সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের (ডিপিডিটি) সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুন এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ দিন বগুড়ার দই এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এ নিয়ে বাংলাদেশের ১৫টি পণ্য জিআই স্বীকৃতি পেল।

উল্লেখ্য, কোনো একটি দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সে ক্ষেত্রে সেই পণ্যকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে নিবন্ধন পেয়েছিল জামদানি।

এরপর একে একে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ, ক্ষীরশাপাতি আম, মসলিন, বাগদা চিংড়ি, কালিজিরা চাল, বিজয়পুরের সাদা মাটি, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি, দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম। সব শেষে এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে বগুড়ার দইসহ ৩ পণ্য। এখন থেকে এই ৩ পণ্য বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।

ডিপিডিটি সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই শেষে বগুড়ার দইকে জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে বুধবার (৫ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোখলেসুর রহমান চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মোখলেসুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমের জিআই স্বীকৃতির জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমকে জিআই পণ্য হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ল্যাংড়া ও আশ্বিনা আমের জিআই স্বীকৃতি সনদ হাতে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।