২০১৯ সাল থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলে জাহাজে হামলা বা দখলের ধারাবাহিকতায়, বুধবার সর্বসাম্প্রতিক প্রচেষ্টা চালায় ইরান। তবে ওই অঞ্চলে দুটি বাণিজ্যিক ট্যাঙ্কার আটক করা থেকে ইরানকে আটকাতে, হস্তক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জ্বালানি খাতের বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন বলেছে, একটি ঘটনার সাথে জড়িত তাদের অন্যতম বৃহৎ অপরিশোধিত তেলের ট্যাঙ্কার রিচমন্ড ভয়েজার, এবং ওই জাহাজে থাকা ক্রুরা সবাই নিরাপদে ছিল।
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর পঞ্চম নৌবহরের মুখপাত্র টিমোথি হকিন্স বলেছেন, দ্বিতীয় জাহাজটি আটক করার প্রচেষ্টার সময় ইরানী নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে গুলি চালানো হয়।
দুটি ঘটনাই ঘটেছে ইরান ও ওমানের মধ্যবর্তী উপসাগরে।
তবে হকিন্স বলেননি, জাহাজ দু’টিকে আটক করার হাত থেকে ঠিক কিভাবে প্রতিরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী। ঘটনার সাথে জড়িত দ্বিতীয় জাহাজ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার জানা যায়নি।
২০১৯ সাল থেকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে উত্তেজনার সময়ে কৌশলগত উপসাগরীয় জলসীমায় নৌ যানের উপর ধারাবাহিক আক্রমণ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী জানিয়েছে, মাত্র এক মাস আগেই ইরান এক সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি তেলের ট্যাংকার আটক করেছে।
বিশ্লেষণী সংস্থা ভর্টেক্সার তথ্য অনুসারে, বিশ্বের অপরিশোধিত তেল এবং তেল জাতীয় পণ্য সরবরাহের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ হরমুজ প্রণালীর মধ্য দিয়ে যায়, যা ইরান এবং ওমানের মধ্যে একটি সরু স্থান যেখানে জাহাজগুলির ভিড় লেগে থাকে ।
রিফিনিটিভ জাহাজ ট্র্যাকিং ডেটা থেকে দেখা যায় যে, বুধবারের ঘটনার আগে রিচমন্ড ভয়েজার সর্বশেষ নোঙ্গর করা হয়েছিল, সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলের রাস তান্নৌরা উপসাগরে।
শেভরনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রিচমন্ড ভয়েজারে "কোনও রকম প্রাণহানি, আঘাত কিংবা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি"।
মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, "জাহাজটি স্বাভাবিকভাবেই চলছে। আমাদের ক্রুদের নিরাপত্তা সবসময়ই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।"