গত দুই দশকের ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে মাতৃমৃত্যুর হার দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই ট্র্যাজেডি অসম অনুপাতে ঘটেছে।
সোমবার জার্নাল অফ দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত নতুন একটি গবেষণায় এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষকরা ১৯৯৯ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পাঁচটি রাজ্য এবং জাতিগত গোষ্ঠীর মধ্যকার মাতৃমৃত্যু পর্যবেক্ষণ করেছেন। মহামারীর সময়কাল তারা পর্যবেক্ষণ করেননি।
ধনী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মাতৃমৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। গর্ভাবস্থায় বা তার এক বছর পর পর্যন্ত মৃত্যুকে মাতৃমৃত্যু হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। সাধারণ কারণগুলোর মধ্যে অত্যধিক রক্তপাত, সংক্রমণ, হৃদরোগ, আত্মহত্যা এবং ওষুধের অতিরিক্ত মাত্রা অন্তর্ভুক্ত।
ম্যাস জেনারেল ব্রিগ্যাম এবং ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের ব্রায়ান্ট এবং তার সহকর্মীরা মৃত এবং জীবিত জন্মের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। তারপর তারা প্রতি ১ লাখ জীবিত জন্ম নেয়া শিশুর মধ্যে মাতৃমৃত্যু হিসাব করার জন্য একটি মডেল প্রক্রিয়া ব্যবহার করে।
দেশে কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের মধ্যে মাতৃমৃত্যুর হার দীর্ঘদিন ধরে সবচেয়ে অবনতি ঘটেছে, এবং সমস্যাটি সমস্ত আর্থ-সামাজিক পটভূমির মানুষকে প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন স্প্রিন্টার টরি বোয়ি (৩২) মে মাসে প্রসবের জটিলতার কারণে মারা যান।
ব্রায়ান্ট বলেন, মহামারীটি সম্ভবত সমস্ত জনসংখ্যাগত এবং ভৌগোলিক প্রবণতাকে আরও বৃদ্ধি করেছে এবং “এটি অবশ্যই ভবিষ্যতের অধ্যয়নের একটি ক্ষেত্র।”