ইউরোপীয় ইউনিয়নে অ্যাসাইলাম আবেদনের সংখ্যা গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ

ফাইল ছবি: ইংল্যান্ডের কেন্টে অবস্থিত ম্যানস্টন ইমিগ্রেশন ফ্যাসিলিটির বাইরে অপেক্ষমান কয়েকজন (২ নভেম্বর, ২০২২)

ইউরোপীয় ইউনিয়নে ২০২২ সালে অ্যাসাইলাম আবেদনের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৬ হাজারে পৌঁছেছে, যা এর আগের ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার প্রকাশিত ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের (ইইউএএ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সুরক্ষা পাওয়ার জন্য ইউরোপে আসতে চাইছেন এরকম জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় অংশটি এসেছে সিরিয়া, আফগানিস্তান, তুরস্ক, ভেনিজুয়েলা ও কলম্বিয়া থেকে।

রুশ যুদ্ধের কারণে মাতৃভূমি ছেড়ে পালিয়ে আসা ইউক্রেনীয়দের আলাদা করে গণনা করা হয়। একটি বিশেষ অস্থায়ী সুরক্ষা মর্যাদা নিয়ে প্রায় ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বসবাস করছেন।

ইতালি, পোল্যান্ড ও সুইডেনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের বেশ কয়েকটি দেশ ধীরে ধীরে অনিয়মিত অভিবাসনের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে।

২০১৫ ও ২০১৬ সালে ইইউতে অনিয়মিত অভিবাসনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। এ সময় ২৫ লাখ অভিবাসন প্রত্যাশীর আগমন ঘটে, যাদের বেশিরভাগই সিরিয়া থেকে এসেছেন। তারা তাদের দেশে চলমান সংঘাত থেকে পালাতে চেয়েছেন।

ইইউএএ’র তথ্যে ইইউর ২৭ দেশের পাশাপাশি আইসল্যান্ড, লিশটেনস্টাইন, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডের তথ্যও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ৪ দেশ সীমানাবিহীন শেনগেন অঞ্চলে অবস্থিত।

এমন সময় এই প্রতিবেদন প্রকাশ পেল, যখন ইইউ তাদের আশ্রয় ও অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালা সংস্কারের জন্য দরকষাকষি করছে।

ইইউএএ-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন পেয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, অস্ট্রিয়া ও ইতালি।

৩৯ শতাংশ আবেদনে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে—যেটি ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ হার।

পুরো ব্লকজুড়ে ৭১ শতাংশ আবেদনই এসেছে পুরুষদের কাছ থেকে।