দক্ষিণ আফ্রিকার একটি অনুসন্ধানী সংবাদ সংস্থা সোমবার দেশটির গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে পরীক্ষা করে এমন একটি মামলায় এক শক্তিশালী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে জিতেছে।
আমাভুঙ্গানে সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমকে এর আগে বিতর্কিত ব্যবসায়ী জুনাইদ মতির ওপর প্রতিবেদনে একটি উৎস থেকে অর্জিত নথি ব্যবহার করতে বাধা দেয়া হয়েছিল। তিনি দাবি করেছিলেন, সেগুলো চুরি করা হয়েছে।
কিন্তু হাইকোর্টের বিচারক রোল্যান্ড সাদারল্যান্ড সোমবার এই আদেশটিকে “আদালতের প্রক্রিয়ার অপব্যবহার” হিসেবে অভিহিত করে তা বাতিল করে দিয়েছেন।
সংস্থাটি টাইকুন সম্পর্কে একটি ব্যাপক তদন্ত চালাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন মানাঙ্গাগওয়ার সাথে অসাধু ব্যবসায়িক লেনদেনের অভিযোগ ছিল।
প্রবন্ধের একটি সিরিজে আমাভুঙ্গানে প্রকাশ করেছেন, কীভাবে মতি জিম্বাবুয়ের রাজনৈতিক অভিজাতদের সাথে লাভজনক খনির চুক্তি সুরক্ষিত করার জন্য তার সম্পর্ক ব্যবহার করেছে।
সাদারল্যান্ড লিখেছেন, “কার্যকর অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার একটি মূল দিক হলো এমন সূত্র থেকে তথ্য পাওয়া যা নাম প্রকাশ করতে চায় না।”
বিচারক জোর দিয়েছিলেন যে, “সীমার মধ্যে… আইন সূত্র প্রকাশ হওয়া থেকে রক্ষা করার যথার্থতা স্বীকার করে।”
গত সপ্তাহে শুনানি করা মামলার একটি বড় অংশ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং গোপনীয়তার সুরক্ষার মধ্যে পার্থক্য করার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
মতি গ্রুপ হলো উন্নয়ন, খনি এবং বিমান চলাচলসহ একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক পোর্টফোলিও-র সমষ্টি।
এটি এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি সাংবিধানিক আদালতে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বিবেচনা করছে কারণ এটি “দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, আমাভুঙ্গানের চুরি হওয়া নথির অধিকারের বিষয়ে বাস্তব অনুসন্ধান করা হয়নি।”
আদালত মতি গ্রুপকে আমাভুঙ্গানের আইনি ফি দিতেও নির্দেশ দিয়েছে।