কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন: নদীগর্ভে বসত-বাড়ি, আবাদি জমি

কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙন: নদীগর্ভে বসত-বাড়ি, আবাদি জমি।

ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা বাধ (ডিএনডি বাধ) এলাকায় কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা জটিল আকার ধারণ করেছে। ডিএনডির জলাবদ্ধতার স্থায়ী নিরসনে প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলছে। এ প্রকল্পে আদৌ কোনো সমাধান হবে কিনা বা কতদিনে হবে; এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন এলাকাবসী।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “আমরা এখন পানির মধ্যে কারাবাস করছি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এভাবে জলের কারাগারে থাকতে হয় আমাদের।”

ডিএনডি এলাকার বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় পয়ঃনিষ্কাশনের পানি এসে মিশেছে আবদ্ধ পানির সঙ্গে। একারনে, দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। আর দেখা দিয়েছে ঠাণ্ডা, জ্বর, ডায়রিয়া, চর্মরোগ, আমাশয়সহ পানিবাহিত নানা রোগ।

ডিএনডি প্রকল্পের এক কর্মকর্তা বলেন, “প্রকল্পের আওতাধীন ডিএনডির নিজস্ব জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা উচ্ছেদ করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে। পাশাপাশি তিতাস, ডিপিডিসিসহ (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড) বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ভূগর্ভস্থ পাইপলাইনগুলোও সরানো হয়নি। এতে আমরা অনেক স্থানেই কাজ করতে পারছি না।”

তিনি আরো বলেন, “পানি নিষ্কাশনের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো; নিষ্কাশনের শাখা খালগুলো সংস্কার করার পর আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরে ফেলা হয়েছে। অনেক স্থানে আমরা খাল পুনরুদ্ধার করেছি, নতুন খাল খনন করেছি। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেগুলো আবার ময়লা দিয়ে স্থানীয় লোকজন ভরে ফেলেন “

আরো বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অফিস

এদিকে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অংশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর নিয়মিত বুলেটিনে জানিয়েছে যে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।এছাড়া, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে যে মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এছাড়া, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয়। এটি বায়ু উত্তর বঙ্গোপসাগরেও সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।