যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউরোপের তিনটি দেশে পাঁচ দিনের এক সফরে যাচ্ছেন। হোয়াইট হাউজ রবিবার বলেছে, বাইডেন লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে বার্ষিক নেটো সম্মেলনে যোগ দেবেন, যেখানে পশ্চিমা নেতারা আলোচনার পরিকল্পনা করছেন। এবারের সম্মেলনের অন্যতম উদ্দেশ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াইকে আরও শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা।
হোয়াইট হাউজ বলেছে, বাইডেন আগামী রবিবার সফরের শুরুতে লন্ডন যাচ্ছেন, যেখানে তিনি রাজা চার্লস এবং প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সাথে "আমাদের দেশগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও জোরদার করার উদ্দেশ্যে" দুই দিন দেখা করার পরিকল্পনা করছেন।
আমেরিকান নেতা তারপর নেটো বৈঠকে যোগ দিতে, দুই দিনের জন্য লিথুয়ানিয়ায় যাবেন। যেখানে ৩১-জাতির পশ্চিমা সামরিক জোটের নেতারা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের বিষয়ে আলোচনা করবেন, যে অঞ্চলগুলো যুদ্ধের ১৬ মাসের প্রথম পর্যায়ে রাশিয়া দখল করে নিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে নেটো দেশগুলি ইউক্রেনে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র পাঠিয়েছে। ইউক্রেনের বাহিনী শত শত রুশ ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করার পরও, রাশিয়া বিমান হামলার মাধ্যমে ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিককে হত্যা অব্যাহত রেখেছে এবং তাদের আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে।
নেটো জোটে ফিনল্যান্ড-এর সাম্প্রতিক যোগদান নিয়ে কথা বলতে এবং নর্ডিক নেতাদের সাথে দেখা করতে, বাইডেন ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কিতেও যাবেন।
নেটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গও গত মাসে হোয়াইট হাউজে বাইডেনের সাথে দেখা করেছিলেন, যেখানে দুই নেতা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি তাদের অব্যাহত সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
ফিনল্যান্ড গত এপ্রিল মাসে নেটোতে যোগ দেয়। এর ফলে, বিশ্বের বৃহত্তম নিরাপত্তা জোটের সাথে রাশিয়ার সীমান্ত কার্যকরভাবে দ্বিগুণ হয়ে গেল। প্রেসিডেন্ট বাইডেন শক্তিশালী নেটো জোটকে মস্কোর ক্ষয়িষ্ণু প্রভাবের চিহ্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
সুইডেনও নেটো জোটে প্রবেশের চেষ্টা করছে, যদিও জোটের সদস্য তুরস্ক এবং হাঙ্গেরি এখনও এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেনি। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনকে নেটো সদস্যপদ পাওয়ার জন্য সমর্থন প্রদর্শনের জন্য বুধবার হোয়াইট হাউজে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
নতুন কোনও সদস্য দেশের যোগদানের জন্য সমস্ত নেটো সদস্য দেশকে অনুমোদন দিতে হবে।
[ এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি থেকে নেয়া হয়েছে ]।