সিরিয়ায় ইসরাইলের বিমান হামলা; ইসরাইলের আকাশে সিরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ

ইসরাইলের রাহাত শহরে বিস্ফোরিত সিরিয়ার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট রকেটের অবশিষ্টাংশ পরিদর্শন করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। ২ জুলাই, ২০২৩।

সিরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরাইল রবিবার ভোরে মধ্য সিরিয়ার হোমস শহরের কাছের এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হলেও, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সিরিয়ার একটি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলি ভূখণ্ডের উপর বিস্ফোরিত হয়েছে। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, জবাবে পাল্টা আরেক দফা হামলা চালানো হয়।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সামরিক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, প্রতিবেশী লেবাননের ওপর দিয়ে আসা ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলোর ছোঁড়া কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রকে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গুলি করে ভূপাতিত করেছে।

হোমসে বিমান হামলার বিষয়ে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সামরিক বাহিনী বলেছে, সিরিয়ার একটি বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের ভূখণ্ডের উপর বিস্ফোরিত হয়, তবে এতে কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। ইসরাইলি পুলিশ জানিয়েছে, রকেটের ধ্বংসাবশেষ ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাহাতে পাওয়া গেছে।

রকেট হামলার জবাবে, ইসরাইলি জেট বিমানগুলি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যাটারিতে পাল্টা আঘাত করে, যেখান থেকে বিমান বিধ্বংসী রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সামরিক বাহিনী বলেছে, এটি অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত করেছে।

ইসরাইল, যারা ইরানের হুমকি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্রতিবেশী সিরিয়ার সরকার-নিয়ন্ত্রিত অংশগুলির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শত শত হামলা চালিয়েছে, যদিও তারা এই হামলার কথা খুব কমই স্বীকার করে।

সিরিয়ায় সর্বশেষ সন্দেহভাজন ইসরাইলি বিমান হামলাটি ছিল গত ১৪ই জুন, রাজধানী দামেস্কের কাছে। ওই হামলায় একজন সৈন্য আহত হয়।

গত কয়েক বছরে দামেস্ক এবং উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলিকেও লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়ে আসছে ইসরাইল।