বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে যা সিরিয়ায় সংঘাতের কারণে নিখোঁজ ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের সাথে কী ঘটেছে তা নির্ধারণের জন্য একটি স্বাধীন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করবে।
প্রস্তাবটির অধীনে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে অবশ্যই ৮০ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন প্রতিষ্ঠানের জন্য শর্তাবলী উপস্থাপন করতে হবে এবং সংস্থাটি দ্রুত স্থাপন এবং এটিকে কার্যকর করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। এই প্রস্তাব জাতিসংঘ প্রধানকে ১০০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়।
সিরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাসাম সাব্বাগ প্রস্তাবটিকে “রাজনীতিকরণ” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি পরিস্কার ভাবে “আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ”কে প্রতিফলিত করে এবং তার দেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর “বিদ্বেষমূলক দৃষ্টিভঙ্গির” নতুন প্রমাণ সরবরাহ করে।
সিরিয়ার অভ্যুত্থান পরবর্তীতে সংঘাতে পরিণত হয়েছে। সংঘাত এখন তার ১৩ তম বছর পার করছে। সংঘাতে প্রায় ৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে এবং এর পূর্ববর্তী জনসংখ্যা ১ কোটি ১৫ লাখের অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের নিখোঁজ ব্যক্তিবিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের অনুমান, ২০২১ সালে সংঘাতের ফলে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি সিরীয় নিখোঁজ হয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ১০০টির বেশি সুশীল সমাজ সংস্থা এবং জাতিসংঘের ২৩ জন মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য সাধারণ পরিষদকে আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং ১২টি সিরীয় গোষ্ঠীসহ সংস্থাগুলো জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি “পরিবারের সত্যের অধিকারকে সমর্থন করার” আহ্বান জানিয়েছে। তারা উল্লেখ করেছে, এই আহ্বানটি রেড ক্রস এবং অন্যান্যরাও সমর্থন করেছে।