বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যা ওনির্যাতনের অভিযোগ

বুরকিনা ফাসোর বিদ্রোহী সৈন্যরা ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারী ওয়াগাডুগুতে জাতীয় টেলিভিশন স্টেশনের প্রবেশদ্বার পাহারা দিচ্ছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং নির্যাতনের ঘটনা এ বছর দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে আতঙ্কের মাঝে রেখেছে।

ফেব্রুয়ারী থেকে মে মাসের মধ্যে সেনো প্রদেশজুড়েসহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদনে কমপক্ষে ২৭ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের হয় তাত্ক্ষণিক ভাবে হত্যা করা হয়েছে বা গুম করার পরে হত্যা করা হয়েছিল। এদের বেশিরভাগই ছিল ফুলানি জাতিগোষ্ঠীর সদস্য।

আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গ্রুপের সঙ্গে যুক্তজিহাদি যোদ্ধারা সাত বছর ধরে বুরকিনা ফাসোতেসহিংস বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে। সহিংসতায় হাজারহাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং দেশকে বিভক্ত করাহয়েছে এর ফলে গত বছর দুটি অভ্যুত্থান হয়েছে।

নিউইয়র্ক-ভিত্তিক নজরদারি সংস্থা জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে মালি সীমান্তের নিকটবর্তী উত্তরাঞ্চলীয় গ্রাম কার্মায় নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ১৫০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।

বুরকিনা ফাসো সরকারের একজন মুখপাত্রের কাছে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলে তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

একটি বিবরণে দেখা যায়, ফুলানি জাতিগোষ্ঠীর গাঙ্গোল গ্রামের ১০ জন লোককে ট্রাকের পেছনে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাদের ট্রাক থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে তাদের উপরে গুলি চালানো হয়।

বুরকিনা ফাসো এবং মালির ফুলানি জনগণের বিরুদ্ধেইসলামী উগ্রবাদীদের সাথে সহযোগিতার অভিযোগ আনাহয়েছে এবং ফলশ্রুতিতে প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনী এবং অন্যান্যদের দ্বারা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।

দেশটির সরকার সম্প্রতি ভিডিপি নামে পরিচিত স্বেচ্ছাসেবী অতিরিক্ত সামরিক ইউনিটে স্বেচ্ছাসেবকসংখ্যা দ্বিগুণ করে এক লক্ষে উন্নীত করার অঙ্গীকার করেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বেসামরিক নাগরিকদেরকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা অপ্রয়োজনীয়, অমানবিক এবং শেষ পর্যন্ত তা বিপরীতমুখী ফল আনতে পারে।