ফ্রান্সে বিক্ষোভ:৬০০ গ্রেপ্তার,২০০ পুলিশ কর্মকর্তা আহত

ফ্রান্সের শহরতলিতে পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী গাড়ি-চালক নিহত হওয়ার পর শুরু হওয়া বিক্ষোভের তৃতীয় রাতে পুলিশ একটি সড়ক পরিষ্কার করছে; ৩০ জুন ২০২৩।

ফ্রান্সের বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড তৈরি করে, আগুন জ্বালায় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে আতশবাজি ছুঁড়ে মারে। এর জবাবে, পুলিশ রাতভর ফ্রান্সের সড়গুলোতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে এবং জল কামান ব্যবহার করে। পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী এক যুবক নিহত হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। আর, এই ঘটনা জাতিকে হতবাক করেছে।

অস্থিরতার তৃতীয় রাতেও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছে সরকার। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং কমপক্ষে ২০০ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, শুক্রবার জরুরি নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক করতে, ব্রাসেলস-এ চলমান একটি ইইউ শীর্ষ সম্মেলন ছেড়ে প্যারিসে ফিরে আসার পরিকল্পনা করেন। ইইউ সম্মেলনে ফ্রান্স ইউরোপীয় নীতিনির্ধারণে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে।

বিক্ষোভ দমনে প্রায় ৪০ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে প্যারিস পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, পুলিশ ৬৬৭ জনকে আটক করেছে; এর মধ্যে প্যারিস অঞ্চল থেকেই আটক করা হয়েছে ৩০৭ জনকে।

জাতীয় পুলিশের একজন মুখপাত্রের মতে, প্রায় ২০০ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বাকিদের আঘাতের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সাধারণত প্রাণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ফ্রান্সে কম। তবে ট্রাফিক স্টপের সংকেত অমান্যকারী ১৩ জনকে গত বছর ফ্রান্সের পুলিশ গুলি করলে, তারা মারা যায়। এ বছর একই পরিস্থিতিতে, নাহেল-সহ আরো তিনজন নিহত হয়। এই সব মৃত্যু ফ্রান্সে আরো জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবিকে তুলে ধরে। মিনেসোটায় পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর বর্ণবাদী অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময়ও এমনটাই দেখা গেছে।