প্রধানমন্ত্রী মোদী উঠলেন দিল্লি মেট্রোয়, শুনলেন নিত্যযাত্রীদের কথা

প্রধানমন্ত্রী মোদী উঠলেন দিল্লি মেট্রোয়, শুনলেন নিত্যযাত্রীদের কথা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার ৩০ জুন আচমকাই দিল্লি মেট্রোর যাত্রী হন। দিল্লির লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের অদূরেই আছে দিল্লি মেট্রোর একটি স্টেশন। অফিস সময়ের ব্যস্ততার মধ্যেই দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর কনভয় এসে থামল স্টেশন চত্ত্বরে। মুহূর্তে সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই যাত্রীদের মধ্যেও সাড়া পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর জন্য আগেই টোকেন কেনা হয়েছিল। যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত রুট দিয়েই প্রধানমন্ত্রী স্টেশনে প্রবেশ করেন।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কর্মসূচি ছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ভাষণ। জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাস লাগোয়া মেট্রো স্টেশনে নেমে গাড়িতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর জন্য একটি কামরা ফাঁকা রাখা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদী ওঠার পর এসপিজি কিছু যাত্রীকে প্রধানমন্ত্রীর কামরায় যাওয়ার অনুমতি দেয়। মোদী তাঁদের পাশে বসিয়ে গোটা যাত্রাপথে নানা বিষয়ে কথা বলেন। সহযাত্রীদের বেশিরভাগই কম বয়সী এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, মোদী তাঁদের কাছে দিল্লির জনপরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চান। মেট্রো রেলে যাত্রার প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

প্রধানমন্ত্রী কেন মেট্রো চাপলেন তা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। দিল্লি মেট্রোর একাধিক সেকশন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। তখন লম্বা পথ সফর করেছেন তিনি। কিন্তু সরকারি কাজে বেরিয়ে মেট্রোয় যাত্রা এই প্রথম।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অফিস টাইমে দিল্লির রাস্তায় যানজটের কথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। তাঁর কনভয় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রাস্তায় দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ রাখে পুলিশ। ফলে সাধারণ নাগরিকদের দীর্ঘ সময় রাস্তায় আটকে থাকতে হয়।

এর সঙ্গে রাজনৈতিক মহলের কেউ কেউ রাজনীতিও জুড়েছেন। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, রাহুল গান্ধী যেভাবে ট্রেনে-বাসে উঠে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা শুনছেন তা প্রধানমন্ত্রীকেও ভাবিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যখন তখন যেখানে সেখানে চলে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই নিরাপত্তা বিধি রক্ষা করেই মেট্রোয় যাত্রা করার সুযোগ নিলেন। কিছু সময়ের জন্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলেন প্রধানমন্ত্রী।