যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বুধবার জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে নতুন কূটনীতির পর ইরানের সঙ্গে কোনো পরমাণু চুক্তির কথা হয়নি।
নিউ ইয়র্কে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স-এ তিনি বলেন,”কূটনৈতিক পথ খুঁজতে আমরা বরাবরই ইচ্ছুক হলেও চুক্তি নিয়ে কোনও কথা হয়নি।”
আগামীতে সম্পর্ক কোন দিকে গড়াবে তা নিয়ে ব্লিংকেন বলেন,”আমরা তাদের কাজকর্মের দিকে নজর রাখব।” সেই সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যে “উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে এমন পদক্ষেপ না নিতে” ইরানকে আহ্বান করেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই আশা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন যে, ইরানের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি ফিরিয়ে আনবেন। তাঁর পূর্বসূরি ডনাল্ড ট্রাম্প এটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে, ইইউয়ের মধ্যস্থতায় হওয়া আলাপ ভেস্তে যায় এবং ইরানে গণ-আন্দোলনের ফলে এই ধর্মগুরু নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনও রকম চুক্তি করতে ওয়াশিংটন দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
তবে কূটনীতিকরা বলেন, ওমানের মধ্যস্থতায় সাম্প্রতিক কয়েক মাস ধরে ফের পরোক্ষ কথাবার্তা শুরু হয়েছে। ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দিদের অবস্থার উপরে মূলত নজর রয়েছে।
২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি আবার বহাল করার বিষয়ে আলোচনা ভেঙ্গে যায় নিষেধাজ্ঞা কতটা শিথিল করা হবে তা নিয়ে মতানৈক্যের কারণে।
ব্লিংকেন বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন ইউরোপীয় শক্তিধর দেশ, এমনকি প্রতিপক্ষ চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ‘আন্তরিক উদ্যোগ’ নিয়েছিল চুক্তিতে ফিরে আসার এবং কিছু সময়ের জন্য তা ‘সম্ভব বলে মনে হয়েছিল’।
তিনি বলেন,”চুক্তিতে ফিরতে প্রয়োজনীয় কাজ হয় ইরান পারবে না, নয়ত করবে না।”