রবিবার মক্কার মাসজিদুল হারামে অবস্থিত কাবা শরীফের চারপাশে বহু মানুষ ইহরাম বেঁধে চক্রাকারে হেঁটে তাদের হজ্ব শুরু করেছেন। সৌদি আরবে গ্রীষ্মের উষ্ণ আবহাওয়ায় বেশ কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি জনসমাগমের মাধ্যমে হজ্ব শুরু হয়েছে।
এ বছর ১৬০টি দেশের ২০ লাখেরও বেশি পূণ্যার্থী আসবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এ বছর হজ্বে আগতদের সংখ্যা আগের সব রেকর্ডকে ভেঙে দিতে পারে। ইতোমধ্যে ১৬ লাখ বিদেশী নাগরিক শুক্রবার রাত নাগাদ সেখানে পৌঁছেছেন।
সৌদি আরবের হজ্ব ও উমরাহ সংক্রান্ত মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা পূর্বাভাষ দেন, “এ বছরের হজ্বে আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পূণ্যার্থী দেখবো।”
কর্মকর্তা আরও জানান, “সংখ্যাটি ২৫ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।” গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম না প্রকাশের শর্তে তিনি এ তথ্য দেন।
রবিবার ভোরে কাবা শরীফকে প্রদক্ষিণ করার রীতি--“তাওয়াফের” মাধ্যমে শুরু হয় হজ্ব। এই অবকাঠামোটিকে স্বর্ণখচিত কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়, যেখানে লাখো মুসলিম প্রতিদিন প্রার্থনা করেন।
হজ্ব ইসলাম ধর্মের ৫টি স্তম্ভের অন্যতম। সকল সামর্থ্যবান মুসলিমকে তাদের জীবদ্দশায় অন্তত একবার হজ্ব করতে হয়।